শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন বিস্তারিত
শবে বরাত ২০২৫ সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৫ এর শবে বরাত কবে, এর ফযিলত, রোজা এবং এই দিনের নামাজ ও আমল সম্পর্কে সম্পূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে।
বেহেস্ত সুসজ্জিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে ঘোষণা করেন মহান আল্লাহ তোমার এ রাতের সম্মানার্থে আসমানের তারকা দুনিয়ার সমস্ত রাত দিনের সংখ্যা অনুযায়ী তার গুনা হওয়ার বান্দা গনকে দোযখের শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তাই অনুগ্রহ করে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
সূচিপত্রঃ শবে বরাত ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত
- শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে
- শবে বরাতের ফজিলত
- শবে বরাতের রোজা কয়টি
- শবে বরাতের নামাজ ও নামাজের নিয়ত
- শবে বরাতের ইতিহাস
- শবে বরাত সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনা
- শবে বরাত ২০২৫ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- শবে বরাত সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে
শবে বরাত ২০২৫ এর ১৫ই ফেব্রুয়ারি শনিবার। শবে বরাত ঈদের মতোই ধর্মীয় বিধান পালন করতে হবে ধারাবাহিক নিয়মে সুস্থ স্বাভাবিক ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ধর্মীয় বিধান পালন করা প্রয়োজনীয় আল্লাহ তাআলা হালাল উপার্জন ও ধর্মীয় বিধান দুটি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কোন একটি ধরে কোন টিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেননি অর্থাৎ শুধু ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে হালাল উপার্জন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বলেননি।
একই সঙ্গে শুধু প্রার্থী উপার্জন নিয়ে ব্যস্ত থাকা কখনো ইসলাম সমর্থন করেন না। শবে বরাত সবে কদর রমজান শবে মেরাজ হজ ঈদ আশুরা এ সকল দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে থাকে, ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর প্রত্যেক মাস শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং ক্যালেন্ডার এ উল্লিখিত সরকারি ছুটির সম্ভাব্য তারিখের ভিত্তিতে রমজান ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ ইবাদতের দিনগুলো তুলে ধরা থাকে।
আরবি মাসের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। ২০২৫ সালের শবে বরাত ১৪ই ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও আরবি মাসের চাঁদের পরিবর্তনের কারণে এটি ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে।
শবে বরাতের ফজিলত
সাবানের মধ্য রজনী শবে বরাত। এই রজনীতে এই রাতে জেগে এবাদত করা এবং এই দিনে রোজা রাখার অনেক হাদিস বর্ণিত রয়েছে এবং সবগুলো হাদিসে জরিপ কোনোটি সহি নয় তবে একটি হাদিস রয়েছে যেটি জরিপ নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সাবানের রাতে অর্থাৎ শবে বরাতের আল্লাহ তায়ালা বান্দার দিকে নজর দেন এবং সব বান্দার ক্ষমার ঘোষণা করেন।
আল্লাহ পাক শবে বরাতে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে বেহেস্তে প্রেরণ করেন। তিনি বেহেস্ত সুসজ্জিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে ঘোষণা করেন মহান আল্লাহ তোমার এ রাতের সম্মানার্থে আসমানের তারকা দুনিয়ার সমস্ত রাত দিনের সংখ্যা অনুযায়ী তার গুনা হওয়ার বান্দা গনকে দোযখের শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে সহি বুখারী শরীফে একটি অধ্যায় রয়েছে। খানা খাওয়ানো এটা মমিন ও মুসলিমের একটি নিদর্শন। এই রাতে আল্লাহ তাআলা যারা শিরকে লিপ্ত, হিংসুক ছাড়া যে ব্যক্তি সুন্নাহ মেনে চলতে চায় না এ সকল লোকগুলো ছাড়া সকল ঈমানদারদের আল্লাহতালা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এ রাতে আল্লাহ পাপী বান্দাদের মুক্তি দিন মহানবী (সাঃ) বলেন যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত আসবে।
তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে ও দিনের বেলায় রোজা পালন করবে। কেননা এই দিন সূর্যাস্তের পরে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। অতএব শবে বরাতের ফজিলত অনেক রয়েছে। আর এই রাতে অবশ্যই আমাদের বিশেষ এবাদত বন্দেগী করা প্রয়োজন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
পুরো বছরের মধ্যেই প্রতিমাসে আরবি মাসের কিছু নির্দিষ্ট তারিখে রোজা রাখা উত্তম। তবে শবে বরাতের রোজা রাখার সুন্নত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন যখন সাবানের মধ্য দিবস আসে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত কর ও দিনে রোজা পালন কর। এইবার ১৪ই শা'বান হবে ২০২৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ইবাদত করে ও সেহরি খেয়ে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি রোজা রাখতে হবে।
এছাড়াও কেউ ইচ্ছা করলে প্রতি আরবি মাসের ১৩ ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতে পারেন এটাকে আইয়ামে বীজের বলা হয়ে থাকে। এই রোজা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে পালিত হয়ে আসছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করতেন এই রোজা। এই তিনটি রোজা পালন করলে শবে বরাতের রোজা পালন করা হয়ে যায়। হাদিসের ভাষ্যমতে বরাতের রাত হচ্ছে পাওয়ার রাত যাওয়ার রাত আল্লাহর নিকট কাদাররা যত বেশি সম্ভব ইবাদতের রাত এটা।
তবে মনে রাখতে হবে নিজের শরীরের ওপর জুলুম করে বা অসনয় কষ্ট করে নয় বরং স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় ঠিক অবস্থায় যতক্ষণ ইবাদত করা যায় ততক্ষণ করা। এই শবে বরাতের এবাদত এর অনেক ফজিলত রয়েছে। এবং শবে বরাতের রোজা একটি। কেননা রাসূল (সা:) বলেছেন, তোমরা রাতে ইবাদত কর ও দিনে রোজা রাখো। এটি দ্বারাই বোঝা যায় এই দিনের রোজা একটি। অর্থাৎ শবে বরাতের রোজা একটি।
শবে বরাতের নামাজ ও নামাজের নিয়ত
শবে বরাতের নামাজ ও নামাজের নিয়ত রয়েছে। শবেবরাতে কেউ নফল নামাজ পড়তে চাইলে তার নিয়ম হলো অন্য নফল নামাজের মতই দুই রাকাত করে নামাজ পড়া। প্রতির আঘাতে সূরা ফাতেহার পর পবিত্র কোরআনের যে কোন সূরা পড়া। এরপর যথা নিয়মে রুপো সিজদা করা এবং অন্যান্য রোকন গুলো আদায় করা। এবং এভাবেই দুই রাকাত নামাজ শেষ করা।
এই রাতে রাত জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি। এ রাতের আলাদা কোন নামাজ নেই নফল নামাজে যে যত পারে পড়বে অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয় এ দিন রাতেও সেইভাবে ই নফল নামাজ পড়তে হবে। কেউ এ রাতে নফল নামাজ পড়লে তা অন্যান্য যেকোনো সময় নফল নামাজের মত পড়বে। নফল নামাজে সানা, সূরা ফাতিহা, সূরা মিলানোর বৈঠক, তাশাহুদ দরুদ দোয়া মাসুরা সব স্বাভাবিক নিয়মে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫
শবে বরাতের রাতে রাত জেগে আল্লাহর কাছে ইবাদত করা, নফল নামাজ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, তাজবি পাঠ করা, দোয়া দরুদ, তওবা ইস্তেগফার ইত্যাদি পাঠ করা শবে বরাতে আমলের মধ্যে পড়ে। শবে বরাত পা মধ্যসাবান অথবা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী সাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। উপমহাদেশে এ রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন।
শবে বরাতের ইতিহাস
শবে বরাত বলে ৪০০ হিজরির আগে পর্যন্ত কিছু ছিল না। অর্থাৎ কিছু মুয়াকিব আলেমদের মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুয়াতি জীবনে এমনকি সাহাবীদের যুগেও এই ধরনের কোন দিবস পালনের কথা ইসলামের ইতিহাসে নেই। কিন্তু শবে বরাত সর্বপ্রথম চালু হয়েছিল ৪৪৮ হিজরীতে বায়তুল মুকাদ্দাসে।
সেখানকার ঈমানগণ বাদশার কাছে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করার জন্য সাবানের রাতে মসজিদে উপস্থিত লোকদের মাঝে বহু ফজিলত এর ওয়াজ ও নামাজের অশেষ নেকি পাওয়ার বানোয়াট বিবরণ পেশ করতেন। যে ইমাম শবে বরাতের যত বেশি বানোয়াট ওয়াজ ও তাফসীর করতে পারতেন সেই মসজিদে তত বেশি লোক জমা হতো।
ইমামদের এই ভিড় বাড়ানোর উদ্দেশ্যই ছিল বাদশার নিকট তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা, সে সময় বাদশা ছিলেন ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন বাদশার সমর্থন থাকায় শবে বরাত উদযাপন এটি আরো জাকজমক হয়ে ওঠে তবে সে যুগের হকপন্থী আলেমগণ এই নতুন আবিষ্কৃত ইবাদত পালনের বিরুদ্ধে নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ করেন।
কিন্তু সমাজের কিছু লোকেরা হকপন্থী আলেমদের কথা শ্রবণ না করে বিদাতিদের অনুসরণ করতে থাকেন। কিন্তু এটি পৃথিবীতে বেশি দিন টিকতে পারেনি সৃষ্টির পর মাত্র ৩৫২ বছর চালু ছিল পৃথিবীতে জনপ্রিয়তা পাবার পরও এ সময় একসময় তা জেরুজালেম মিশর ইরাকসহ সিরিয়া প্রায় সকল দেশে আবার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে ইরানের শিয়াদের কিছু অঞ্চলে তা চালু রয়ে যায়। এই সময় ভারতবর্ষে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছিল।
ভারতের কিছু নওমুসলিমরা পূর্বে হিন্দু ছিল তারা হিন্দুদের দিপালী পূজার মতো শবেবরাতের রাতে মোমবাতি আগরবাতি জ্বালাতো তারপর তা ধীরে ধীরে ভারতবর্ষে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তারা সালাতুর রাগায়েন রাগায়েব নামে চালু করে এটি নামাজ একটি নামাজ এই নামাজ ১০০ রাকাত।
মুমিনদের ভাষ্যমতে মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন এই রাত মহিমান্বিত একরাত এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন প্রতিবছর হিজরী ক্যালেন্ডার এর শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। এটাই শবে বরাতের নামাজ বলে খ্যাত।
শবে বরাত সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনা
ইসলামে বিশ্বাস মতে এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। এবং অনেক অঞ্চলে এই রাতে তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়ে থাকে। শবে বরাত ইসলাম ধর্মে একটি বরকতময় রাতের নাম।
যে রাতে ফজিলত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হাদিসের কথা অনুযায়ী এ রাতে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য গুনাহগার বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। হাদিস শরীফে এ রাতকে লাইলাতুল মিস্ত্রী মিন সাবান তথা শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত্রি বলে ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। শবে বরাতের রাতে যাদেরকে ক্ষমা করা হবে না সে প্রকৃতির মানুষ গুলো হলো। যারা বা কারোর ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনাকে বলা হয় হাসাদ বা হিংসা।
যা জায়েজ নয় তবে কারো ভালো কিছু বা উন্নতি দেখে তার বিলুপ্তি কামনা না করে নিজেও তা অর্জনের চেষ্টা করাকে বলা হয় যার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এবং এই সকল হিংসা লোভ অহংকার শিরক সকল কাজে লিপ্ত মানুষদেরকে শবে বরাতে রাতে ক্ষমা করা হবে না। শবে বরাতের শব্দটি হুবহু শবে বরাত লিখিত কুরআনে হাদিসে নেই আর তা থাকার কথা নয় কারণ তা ফারসি শব্দ মূল বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হাদিসে একে লাইলাতুল নিসফি মিন শাবান বলা হয়েছে।
শবে বরাত ২০২৫ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন। শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে?
উত্তর। ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন। শবে বরাতের নামাজ কি নফল?
উত্তর। শবেবরাতে একজন মুসলিম যেসব ইবাদত করেন বা করবেন তার পুরোটাই নফল।
প্রশ্ন। শবে বরাতের রাতের কি কোন বিশেষ নামাজ রয়েছে?
উত্তর। শবে বরাতের রাত জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি। এ রাতের আলাদা কোন নামাজ নেই নফল নামাজেই যে যত পারে পড়বে।
প্রশ্ন। শবে বরাতের রাতে কি কি আমল করতে হয়?
উত্তর। রাত জেগে আল্লাহর কাছে ইবাদত করা যেমন নফল নামাজ পড়া, তাসবিহ পাঠ করা, কোরআন তেলাওয়াত করা, দোয়া-দরুদ, তওবা ও ইস্তেগফার করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন। শবে বরাত কি শব্দ?
উত্তর। শবে বরাত ফারসি ভাষার শব্দ। সব অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে লাইলাতুল বরাত অর্থ্যাৎ সৌভাগ্য রজন।।
প্রশ্ন। ইহুদিরা কেন শবে বরাত পালন করে?
উত্তর। শাব্বাত হলো ইহুদীদের বিশ্রামের দিন। শুক্রবার সূর্যাস্ত থেকে শনিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শবে বরাত হয় তাদের। শবেবরাতের সময় ইহুদিরা তাওরাত থেকে সৃষ্টির গল্প মনে করে যেখানে ঈশ্বর ছয়দিনে বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন এবং ৭ দিনে বিশ্রাম করেছিলেন। বিভিন্ন ইহুদী মানুষ বিভিন্ন উপায়ে শবে বরাত উদযাপন করে।
শবে বরাত সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা
শবে বরাত সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে উল্লেখিত করা হয়েছে। এই রাতের ফজিলত রোজা নামাজ ও আমল সম্পর্কেও সমস্ত কিছু উল্লেখ রয়েছে। শবে বরাত ২০২৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও এটি চাঁদ দেখার কারণে ১৫ ই ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে। শবে বরাতের রোজা একটি এবং এই দিনের ছুটি ও মূলত একদিন সরকারিভাবে।
আশা করছি আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ২০২৫ সালের শবে বরাত কবে এবং শবে বরাতের ফজিলত আমল রোজার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ইসলামিক এমন আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেজে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url