সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমাদের একটি পোস্ট রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ এর সে সকল ছুটির তালিকা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করব। 

সরকারি-ছুটির-তালিকা-২০২৫

সরকারি ছুটি তারিখ এবং সরকারি ছুটির বর্ণনা গুলো এখানে সম্পূর্ণ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। 

সূচিপত্রঃ সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত 

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫

ক্রমিক তারিখ বার ছুটির ধরন ছুটির পরিমাণ
১. ১৪ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শব-ই-বরাত ১ দিন
২. ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ১ দিন
৩. ১৭ মার্চ সোমবার জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ১ দিন
৪. ২৬ মার্চ বুধবার স্বাধীনতা দিবস ১ দিন
৫. ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার শব-ই-কদর ১ দিন
৬. ২৮ মার্চ শুক্রবার জুমাতুল বিদা ১ দিন
৭. ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর ৩ দিন
৮. ১ এপ্রিল মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর ২ দিন
৯. ২ এপ্রিল বুধবার ঈদুল ফিতর ১ দিন
১০. ১৪ এপ্রিল সোমবার পহেলা বৈশাখ ১ দিন
১১. ১ মে বৃহস্পতিবার মে দিবস ১ দিন
১২. ৫ মে সোমবার বুদ্ধ পূর্ণিমা ১ দিন
১৩. ৬ জুন শুক্রবার ঈদুল আযহা ৩ দিন
১৪. ৭ জুন শনিবার ঈদুল আযহা ২ দিন
১৫. ৮ জুন রবিবার ঈদুল আযহা ১ দিন
১৬. ৬জুলাই রবিবার আশুরা ১ দিন
১৭. ১৫ অগাস্ট শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস ১ দিন
১৮. ১৬ অগাস্ট শনিবার শুভ জন্মাষ্টমী ১ দিন
১৯. ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঈদে মিলাদুন্নবী ১ দিন
২০. ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী ১ দিন
২১. ১৬ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিজয় দিবস ১ দিন
২২. ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বড়দিন ১ দিন

ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকা 

ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকায় প্রথমেই রয়েছে শবে-বরাত, শবে-কদর, জামাতুল বিদা, ঈদুল-ফিতর, ঈদুল-আযহা, আশুরা ঈদে মিলাদুন্নবী, ইত্যাদি। এই সকল ছুটিগুলো আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ আমাদের ধর্মীয় ছুটি হিসেবে পরে সরকারি ছুটির তালিকায়। এ সকল ধর্মনিরপেক্ষ ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো নিচে। 

শবে বরাতের ছুটিঃ  সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ এ শবে বরাতের ছুটির তালিকা রয়েছে এইবার ১৪ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। এবং শবে বরাতের ছুটি পরিমাণ একদিন। শবে বরাত হিজরী শাবান মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার। 

তার বান্দাদের ইবাদতের উপর বিশেষভাবে ক্ষমা করে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ তায়ালা ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য রোজা এবাদত দান সদকা এ সকল কাজে মশগুল থাকেন। 

শবে কদরের ছুটিঃ সরকারি ছুটি তালিকা ২০২৫ এর ধর্ম নিরপেক্ষ ছুটির। তালিকার দ্বিতীয়তম ছুটি হচ্ছে শবে কদর। ২০২৫ সালের সবে কদর ছুটি রয়েছে ২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার। শবে কদর ছুটির পরিমাণ একদিন। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, গুনাগুন, মর্যাদা, ভাগ্য, সম্ভবনা ইত্যাদি বোঝায়। 

শবে কদর অর্থ হল মর্যাদার রাত বা ভাগ্য রজনী। শবে কদরের আরবি হল লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। যে রাতে পবিত্র কোরান নাজিল করা হয়েছে।  সেই রাত কেই মূলত লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এর রাত বলা হয়। 

জামাতুল বিদার ছুটিঃ ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকায় তৃতীয়তম ছুটি হচ্ছে জামাতুল বিদার ছুটি। জামাতুল বিদার ছুটি রয়েছে ২৮ মার্চ শুক্রবার। এই ছুটির পরিমাণও একদিন। পবিত্র রমজানুল কারিমের শেষ শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। 

প্রতিবছর বিশ্ব মুসলিম ইবাদত বন্দেগী ও জিকির আস্কারের মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা হয়ে থাকে। 

ঈদুল ফিতরের ছুটিঃ ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকার চতুর্থতম ছুটি হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতর ৩১ শে মার্চ সোমবার পালিত হবে। ঈদুল ফিতর ছুটির পরিমাণ তিন দিন। ঈদুল ফিতর মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করে যা বিশ্বে পালিত হয়। 

ঈদুল-ফিতরের-ছুটি

মুসলমানরা কুরআন পাঠ করে, যাকাত দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থেকে এবং তাদের তাকওয়া বা পবিত্র চেতনা বাড়ানোর জন্য প্রার্থনা ও অধ্যয়নে মনোনিবেশ করে রমজান শেষে ঈদুল ফিতর পালন করে। 

ঈদুল আযহার ছুটিঃ সরকারি ছুটির ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকার পঞ্চমতম ছুটি হচ্ছে ঈদুল আযহার ছুটি। ঈদুল আযহা ২০২৫ সালের ৬ জুন শুক্রবার পালিত হবে। ঈদুল আযহার ছুটির পরিমাণ ও তিনদিন। ঈদুল আজহার অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা।

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার 

যেমন এই দিনটিতে মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে।  বাসায় ফিরে নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে থাকে। 

আশুরার ছুটিঃ ধর্মনিরপেক্ষ সরকারি ছুটির তালিকার ষষ্ঠতম ছুটি হচ্ছে আশুরার ছুটি। আশুরার ছুটি রয়েছে ২০২৫ সালের ৬ জুলাই রবিবার। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। আশুরা একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হল ইসলাম ধর্মের একটি স্মরণীয় দিবস।  । আশুরা প্রতি বছর ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে পালিত হয়। 

ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটিঃ ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির তালিকার সর্বশেষ ছুটি হল ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি। ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৫ সালের ৫-ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার উদযাপিত হবে। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে আমাদের প্রিয় নবীজির আগমনকে বোঝায়। আর ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ নবীজির আগমনে খুশি উদযাপন করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলা চলে ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী (সা:) এর জন্ম বা আগমন। 

জাতীয় ছুটির তালিকা 

জাতীয় ছুটির তালিকার মধ্যে রয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও বিজয় দিবস। এ সকল দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো। 

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসঃ সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ এর জাতীয় ছুটির তালিকার মধ্যে রয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উদযাপিত হবে। এ ছুটির পরিমাণ একদিন। 

মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বাঙালি জাতি একুশে ফেব্রুয়ারি ওমর একুশে ভাষা বা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয় এরপর থেকে। 

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীঃ জাতীয় ছুটির তালিকা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী তৃতীয় নম্বর তালিকায় রয়েছে ছুটি হিসেবে। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ১৭ ই মার্চ সোমবার। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। স্বাধীনতার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এর উদ্বেগে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। 

স্বাধীনতা দিবসের ছুটিঃ জাতীয় ছুটির তালিকায় স্বাধীনতা দিবস তৃতীয় ছুটির তালিকা হিসেবে রয়েছে। স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ বুধবার উদযাপিত হবে। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ১৯৭২ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ তারিখ এই তারিখে উদযাপিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে অর্থাৎ যাকে (কাল রাত) ও বলা হয়ে থাকে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে এই তারিখে।

জাতীয় শোক দিবসের ছুটিঃ জাতীয় শোক দিবস ১৫ ই আগস্ট শুক্রবার উদযাপিত হয়ে থাকে। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশ পালিত একটি প্রাক্তন জাতীয় দিবস।  

বিজয় দিবসের ছুটিঃ জাতীয় ছুটির তালিকার সর্বশেষ ছুটি হচ্ছে বিজয় দিবসের ছুটি। বিজয় দিবস ১৬-ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার উদযাপিত হবে। এবং এই ছুটির পরিমাণও একদিন। ১৬ই ডিসেম্বর কে আমাদের বাংলাদেশের বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপিত করা হয়। বিজয় দিবস বাংলাদেশের প্রতি ১৬ ডিসেম্বর স্মরণ করা হয়। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫

কেননা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের জয়কে উদযাপনের জন্য মূলত আমাদের এই বিজয় দিবস। 

বাঙালি ছুটির তালিকা 

বাঙালি ছুটির তালিকা মধ্যে পহেলা বৈশাখ অন্যতম এবং প্রধান। পহেলা বৈশাখ ১৪ই এপ্রিল উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২৫ সালে পহেলা বৈশাখ ১৪ই এপ্রিল সোমবার উদযাপিত হবে। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। পহেলা বৈশাখ বাংলা মাসের প্রথম দিন যাকে বাংলা নববর্ষ বলা হয়ে থাকে। এই দিনটি সকল বাঙ্গালীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের একটি দিন। 

পহেলা বৈশাখ শুধু বাংলাদেশের নয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়ে থাকে। এছাড়াও ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। এটি একটি বসন্তের ফসলের ওপর ভিত্তি করে উৎসব যা বাংলাদেশের সরকারি ক্যালেন্ডার নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে চিহ্নিত করে। 

কৃষি কাজের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। যা ৫ নভেম্বর ১৫৫৬ তার সিংহাসন আরোহণের দিন হতে কার্যকর হয়। পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয় এটি বাঙালি জাতির সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিক। নতুন বছরে শুরুতে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয়। 

পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত এবং ইলিশ মাছ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে বহু যুগ ধরে। বাঙালিরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে এই দিনটিতে ঘুরতে বের হয়। এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মেলা বসে এবং বাসায় বা যেকোনো রেস্টুরেন্ট,হোটেলে পান্তা ইলিশ খাবার ঢোল পড়ে যায় পহেলা বৈশাখে। বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের শুরুটা হয়েছিল পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতে। 

আন্তর্জাতিক ছুটির তালিকা 

আন্তর্জাতিক ছুটির তালিকায় রয়েছে মে দিবস। মে দিবস ১ই মে উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২৫ সালের মে দিবস এক মে বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। মে দিবস মূলত আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে অভিহিত রয়েছে। যা মে মাসের ১ তারিখে সারাদেশে উদযাপিত হয়ে থাকে। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে একসাথে মিছিল এবং শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পহেলা মে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয় এছাড়াও আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়ে থাকে। 

মে দিবস মূলত ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগ কে স্মরণ করে পালিত হয় সেদিন দৈনিক 8 ঘন্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল এবং তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাত নামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের গুলি বর্ষণ  শুরু করে। 

২০২৫-সালের-মে-দিবস

এবং অনেক হতাহতের পরে শ্রমিকদের জয়ী হয়। আমেরিকা ও কানাডাতে অবশ্য শ্রম দিবস সেপ্টেম্বর মাসে পালিত হয়ে থাকে। সেখানকার কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়নসহ শ্রমের নাইট এদিন পালনের উদ্যোক্তা‌। হে মার্কেটের হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিপ ল্যান্ড মনে করেছিলেন পহেলা মে তারিখে যে কোন আয়োজন হানাহানিতে পর্যবসিত হতে পারে। 

সেজন্য ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে নাইটের সমর্থিত শ্রম দিবস পালনের প্রতি যুগে পরেন তিনি। বাংলাদেশে মে দিবস সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী বিভিন্ন বাণী দিয়ে থাকেন। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন দিনটি পালন করতে শোভাযাত্রা, শ্রমিক সমাবেশ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে। মে দিবসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

অন্যান্য ধর্মীয় ছুটির তালিকা 

অন্যান্য ধর্মীয় ছুটির তালিকার মধ্যে রয়েছে বুদ্ধ পূর্ণিমা, শুভ জন্মাষ্টমী, বিজয়া দশমী ও বড়দিন। অন্যান্য ধর্মীয় ছুটি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো। 

বুদ্ধ পূর্ণিমাঃ অন্যান্য ধর্মীয় ছুটির তালিকা প্রথমের যে ছুটি রয়েছে সেটি হল বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি ৫ই মে সোমবার। এবং এই ছুটির পরিমাণ একদিন। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম একটি উৎসব। 

এই উৎসবে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়ে থাকে বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ও সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। এবং মহাপরি নির্বাণ লাভ করেছিলেন। তাই এই দিনেই বুদ্ধ পূর্ণিমা দিনটি বৌদ্ধ ধর্মে উদযাপিত হয়ে থাকে। 

শুভ জন্মাষ্টমীর ছুটিঃ অন্যান্য ধর্ম সংক্রান্ত ছুটির মধ্যে দ্বিতীয় তম ছুটি হচ্ছে শুভ জন্মাষ্টমীর ছুটি। ‌শুভ জন্মাষ্টমী ১৬ই আগস্ট শনিবার। এই ছুটির পরিমাণ একদিন। শুভ জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টুরদের দমন ও সজনদের রক্ষার জন্যই তাদের মহা বতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এবং হিন্দু পঞ্জিকা মতে সৌরভ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখনই জন্মাষ্টমী পালিত হয়। 

বিজয়া দশমীর ছুটিঃ তৃতীয়তম ছুটি হচ্ছে বিজয়া দশমীর ছুটি। বিজয়া দশমী ছুটি ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পালিত হবে। এই ছুটির পরিমাণও একদিন। বিজয় দশমী হিন্দু বর্ষপঞ্জি আশ্বিন বা কার্তিক মাসে দশম দিনে পালন করা হয়। এই মাস দুইটি হিন্দু চান্দ্র সৌর বর্ষপঞ্জির যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম মাস পরে। যা সাধারণত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর হয়। অঞ্চলের উপর নির্ভর করে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দুর্গা বা রামের বিজয়কে বিজয়া দশমী হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে হিন্দু ধর্মে। 

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন। ২০২৫ সালের শবে বরাত ইসলামী সালে কত সাল হবে? 

উত্তর। ১৪৪৬ সাল

প্রশ্ন। ২০২৫ সালে বাংলা ভাষা কততম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে? 

উত্তর। ২৬তম। 

প্রশ্ন। ২০২৫ সালের রোজা কত তারিখে? 

উত্তর। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। 

প্রশ্ন। ২০২৫ সালের সবে কদরের রোজা কবে?

উত্তর। পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ। 

লেখকের শেষ কথা সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে 

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে সম্পূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি ছুটি তারিখ এবং সরকারি ছুটির বর্ণনা গুলো এখানে সম্পূর্ণ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। ক্যালেন্ডার সম্পর্কিত এমন আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেজে ভিজিট করুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url