মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১০টি কার্যকরি টিপস S
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার দশটি কার্যকরী এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো আজকে এই পোস্টটির মধ্যে দেওয়া রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ঘরে বসে ইনকাম করার অনেকগুলো পদ্ধতি থাকলেও আজকে আমরা আলোচনা করব কিছু কার্যকরী কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে আসুন সে সকল পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১০টি কার্যকরি টিপস
- ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়
- অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয়
- ব্লগিং করে আয়
- বিভিন্ন প্রসাধনী রিভিউ করে আয়
- হস্তশিল্প বিক্রি করে আয়
- বিভিন্ন রান্নার রেসিপির ব্লগিং থেকে আয়
- অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- আর্টিকেল লিখে আয়
- লেখক এর শেষ কথা
ঘরে বসে ইউটিউব থেকে আয়
ইউটিউব ব্যবহার কারীর সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি মানুষ বিশ্বব্যাপী রয়েছে। প্রতি মিনিটে এই প্লাটফর্মে ৫০০ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিম হয়ে থাকে। আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব। জনপ্রিয় এই ইউটিউব প্লাটফর্ম থেকে ব্লগাররা মাসে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। এবং এটির ফলে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে অনেক ছেলে মেয়েই।
চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। ঘরে বসেই মাসে ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। তাহলে জেনে নিন ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায় সম্পর্কে। বর্তমানে youtube এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি এবং এই সময় এসে ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে কড়া প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকামের ১০টি উপায়
ইউটিউব থেকে আয় করার সর্বপ্রথম একটি উপায় হল আপনার ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী দর্শক তৈরি করতে হবে। তবেই আপনি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে কিছু বিষয় নজর দিতে হবে শুধু ভিডিও আপলোড করলেন আর আয় করে ফেললেন বিষয়টা মোটেই এরকম নয়।
এজন্য আপনাকে নানান ধরনের বিষয় বুঝেশুনে কাজ করতে হবে এবং কয়েকটি ফর্মালিটি ও রুলস ফলো করতে হবে।
- আপনার ভিডিও তৈরি আগে ভিডিওটি কোন দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান তা আগে ঠিক করুন। এরপরে সেই দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ভিডিও তৈরির আগে উপযুক্ত বিষয় পছন্দ করুন। শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করুন এর ফলে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুবিধা হবে। এরপর সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন।
- ভিডিও ক্রিয়েট করতে সর্বপ্রথম একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন আপনার ভিডিওকে আরো প্রফেশনাল লুক দিতে পারে। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে, প্রত্যেক ভিডিওর সঙ্গে দিতে হবে কিওয়ার্ড। নিজের ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিতে হবে।
- ১ হাজার সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গেই আয় শুরুর জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে ৪০০০ ঘণ্টা ভিউ। যত বেশি ভিউ পাবেন রোজকারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিংকে ক্লিক করে কেউ সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার হবে ইউটিউব থেকে।
- ইউটিউব থেকে শুধুমাত্রই বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমে কঠিন হতে পারে নতুন ব্লগারদের কাছে। এই কারণে সঙ্গে অন্য কাজ রাখা প্রয়োজন। নিজের চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারে। প্রত্যেক ভিডিও থেকে রোজগারে একটি অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম।
- একবার youtube প্ল্যাটফর্ম থেকে রোজগার শুরু করলে আপনি youtube প্রিমিয়ামে সাইন আপ করতে পারবেন। এই ফিচারে আপনার সাবস্ক্রাইবাররা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পারবে। সাবস্ক্রাইবারদের থেকে রোজকারের দ্বিতীয় পথ হিসেবে কাজ করবে এই ইউটিউব প্রিমিয়াম।
- ইউটিউবে স্টুডিও থেকে মনিটাইজেশন বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন এবং এখানে ড্যাশবোর্ডে মাসে কত রোজগার হয়েছে দেখে নিতে পারবেন।
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয়
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় করার মাধ্যম একটি খুবই সহজ উপায়। এটির মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটিকে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে চাইলে আপনি যে স্টেপগুলো ফলো করতে পারেন
- প্রথমত আপনার বাজেট কি পরিমান সেই অনুযায়ী রিসার্চ করবেন
- এমন পণ্য বাছাই করেন যাতে চাহিদা ও বাজারদর দুইটাই ভালো থাকে
- মেয়েদের পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করতে পারেন
- বাজেট কম হলে কিছু কসমেটিকস যেমন হেয়ার ব্যান্ড কানের দুল চুরি হালকা কিছু নেকলেস হাত ঘড়ি হিজাব পিন ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন
- বাজেট ভালো বা মোটামুটি হলে শাড়ি থ্রি পিস হিজাব ইত্যাদি পণ্য বাছাই করতে পারেন
অনলাইনে বিক্রি বাড়ানোর অনেকগুলো কৌশলের মধ্যে অন্যতম প্রধান কৌশল হল ব্র্যান্ডিং। একটি বিজনেস ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেলে তার বিক্রি বেড়ে চলা সময়ের ব্যাপার তাই অনলাইন সেলস বাড়াতে চাইলে সবার আগে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব পরিচিত একটি শব্দ ব্র্যান্ডিং হোক সে অফলাইন বা অনলাইন ব্যবসা প্রতিযোগিতায় দৌড়ে ব্র্যান্ডিংয়ে পারে আপনার প্রোডাক্ট বাকি সবার থেকে আলাদা করে কাস্টমারদের পছন্দের শীর্ষে তুলে নিয়ে আসতে। অনলাইনে পণ্য বিক্রির আরও একটি সহজ উপায় হলো আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
ব্লগিং করে আয়
বর্তমানে সময়ে এসে ব্লগিং করেও মোটামুটি ভালো পরিমাণের আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ব্লগিং করার কথা শুরু করতে চান বা আপনার কাছে ইতিমধ্যে ব্লগ বা কোনরকম সাইট থেকে থাকে তাহলে জেনে রাখুন যে আপনার কাছে এখনো উপার্জন করার সুবিধা রয়েছে। ব্লগ কে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারে।
এই নিবন্ধে অনলাইনে উপার্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন মডেল এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট মনিটাইজ করার সেরা পদ্ধতি গুলির কথা বলা আছে। প্রাথমিক বিষয় দিয়ে শুরু করুন মনিটাইজেশন কি সহজ ভাবে বলতে গেলে মনিটাইজেশনের অর্থ হলো আপনার সাইট থেকে টাকা উপার্জন করা আপনি নিজের ব্লগে অনলাইন কন্টেন থেকে উপার্জন করলে সেটিকে মনিটাইজেশন বলা হয়। ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন শুরু করার জন্য এখানে বেশ কিছু অনলাইন ব্যবসায়িক মডেল দেওয়া হল।
- বিজ্ঞাপন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রোডাক্ট এর অফার
- কোচিং
- সাবস্ক্রিপশন
একজন ব্লগের প্রকাশক হিসেবে আপনার অনলাইন কনটেন্টে বিজ্ঞাপন যোগ করলে সহজে টাকা পেতে পারবেন আপনি। বিজ্ঞাপন দাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট করতে চাইবে। ঠিক একই ভাবে বেশি মাত্রায় সার্কুলেট হওয়ার সংবাদ পত্রিকা বিজ্ঞাপন দাতাদের আরও বেশি চার্জ করতে পারে।
আপনার সাইট এবং কনটেন্ট যত বেশি জনপ্রিয় হবে আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন। আপনার কন্টেন্টের সাথে যে সমস্ত ব্যবসার বিজ্ঞাপন আপনি দেখাতে চান সেগুলোর জন্য আপনি বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট অফার করতে পারেন। আপনার হয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট বিক্রি করার জন্য গুগল এডসেন্স এর মত বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ব্যবহার ও আপনি করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল মূলত আপনি যখন অন্য কোন সাইটে বিক্রয়ের জন্য যে কোন প্রোডাক্ট বা পরিষেবাতে আপনার কনটেন্টে কোন লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করেন তখন এটিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। অর্থাৎ যখন কেউ আপনার সাইটে দেওয়া লিংকটি ক্লিক করে এফিলেট সাইটে যায় এবং আপনার অনুমোদন করা প্রোডাক্ট কেনার জন্য প্রসেস করা হয়। আপনি তখন সেই প্রোডাক্টের বিক্রয়ের ওপর কমিশন পাবেন। প্রোডাক্টটা সাজেশন এ আগ্রহী এমন নিদর্শন নিযুক্ত দর্শক সহ ব্লগের জন্য এটি একটি কার্যকরী উপার্জনের উপায় হতে পারে।
বিভিন্ন প্রসাধনী রিভিউ করে আয়
সারা বিশ্বে বর্তমানে বিউটি প্রোডাক্ট ও পার্সোনাল কেয়ারের রয়েছে অনেক বেশি চাহিদা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন tiktok এ বিভিন্ন পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট এর ভিডিও এর প্রসার ঘটার কারণে এই সেক্টর টি জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বিউটি ইন্ডাস্ট্রির ৯৫ শতাংশই নারীদের উদ্দেশ্য করে পরিচালিত হয়।
কেননা একজন নারী স্কিন প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে একজন নারীকে যতটা ভরসা করবে ততটা একজন পুরুষকে কখনোই করবে না। একজন নারী একটি প্রসাধনী কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা চাইলেই দেখাতে পারবেন যা পুরুষদের ক্ষেত্রে এতটা সহজ হবে না। অনলাইনে প্রসাধনী ব্যবসা অসংখ্য সুবিধা প্রদান করে থাকে।
আবার আপনার কাছে যদি একটি পেজ বা youtube চ্যানেল থেকে থাকে যেটিতে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে তা হলে আপনি বিভিন্ন প্রসাধনী রিভিউ করে আয় করতে পারবেন। যেমন ধরেন আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে এবং সেখানে আপনার পেজের ফলোয়ার এবং ভিজিটের সংখ্যা অনেক বেশি।
সেক্ষেত্রে যে কোন ব্র্যান্ড বা যে কোন প্রোডাক্ট আপনাকে কেউ রিভিউ করে ভিডিও করার জন্য পাঠালে আপনি সেটির উপর একটি নির্দিষ্ট চার্জ নিয়ে রিভিউ দিতে পারবেন। এবং এখান থেকে আপনি ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পেজের রিচ এবং ফলোয়ার বেশি থাকা প্রয়োজন।
হস্তশিল্প বিক্রি করে আয়
হস্তশিল্প বিক্রি করে আপনি খুব সহজে বাসায় বসে আয় করতে পারবেন। এখনকার দিনে হস্তশিল্প একটি অন্যতম ব্যবসা শহর থেকে গ্রাম বহু মানুষ বহু রকম হস্তশিল্পের কাজে নিযুক্ত রয়েছে এভাবে যেমন একদিকে মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তেমনি ঘর ও গৃহস্থালি সাজানোর কাজে এগুলি খুবই পারদর্শী।
হস্তশিল্পের একটি সুবিধা জনক দিক হল শুরু এটি শুরু করতে বেশি টাকা খরচ করতে হয় না আবার অল্প কিছু জায়গার মধ্যে তা উৎপাদনও করা যায় এর কিছু উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলো।
চুড়ি তৈরিঃ আপনি খুব সহজে চুরি তৈরি করতে পারবেন। শুধুমাত্র দেশ নয় দেশের বাইরেও এই বিশেষ জিনিসগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী অনেক রকম ভাবে এগুলো তৈরি করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব এর বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে কিছুটা আইডিয়া নিতে পারেন।
প্লাস্টিকের ফুল তৈরিঃ ফুলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরদিনের রয়েছে, তাই ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন রঙের ছোট বড় ফুল বাজার থেকে কিনে থাকি আমরা হতেও পারে সেগুলো আপনি নিজে ঘরে বসে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
পাপস বা কার্পেট তৈরিঃ পাপোশ বা কার্পেট তৈরি খুবই সহজ পদ্ধতি বলে আমি মনে করি। কেননা সবার ঘরেই পাপোশ দরকার হয় আর যখন সেটা হাতে তৈরি একটি বিশেষ আকার পাবে তার দামি তখন আলাদা হবে। এসব জিনিস ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে। এবং এ সকল জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা অনেক বেশি থাকে তাই আপনি চাইলেই এটি শুরু করতে পারেন।এগুলো ছাড়াও আপনি যে সকল কাজগুলো আরো করতে পারেন সেগুলোর কিছু ছোট উদাহরণ দেওয়া।
- কাঠের খেলনা তৈরি
- কাঠের বাঁশি তৈরি
- উলের হাতে বোনা সোয়েটার
- শাখা তৈরি এবং ডিজাইন করা
- গামছা বা শাড়ি বোনা
- কাঠের চামচ বা বাটি
- কাঠের মালা কানের দুল সহ হাতের চুড়ি সরঞ্জাম তৈরি করা
- শাড়ি বা জামাতে হাতে নকশা করা
- জামা কাপড় বানানো
- গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি তৈরি
- রেজিন দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি
- মাটির ফুলদানি তৈরি
- চটের ব্যাগ তৈরি
- বিভিন্ন রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি
- চুলের ক্লিপ সহ সাজানোর জিনিস তৈরি
- যেকোনো ধরনের পেইন্টিং তৈরি
- বেতের বানানো টুল এবং ঘর সাজানোর দ্রব্যাদি তৈরি
বিভিন্ন রান্নার রেসিপি ব্লগিং থেকে আয়
ভাল রান্না করতে পারেন এমন অনেকেই রান্নার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে যান যদি ট্রেনিং নিয়ে থাকেন অথবা রান্নায় আগ্রহ থেকে থাকে আপনি আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন তবে। বিভিন্ন রান্নার রেসিপি ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য ইউটিউব একটি অন্যতম মাধ্যম।
ইউটিউবে একটি রান্নার চ্যানেল খুলে আপনি আয় করতে পারবেন। নিজের রান্নার কোর্স বিক্রি কিংবা ব্লগ বা ক্লাউড কিচেন এর রেসিপি প্রচারের জন্য ইউটিউব অসাধারন একটি মাধ্যম। নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার ও কনটেন্ট এর ভিউ থাকলে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকেও আপনি টাকা পাবেন।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের ৬ উপায়
তাই ইউটিউব এ রান্নার চ্যানেল খোলার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন চাইলে। ফেসবুক কন্টেন্ট প্রকাশের জন্য বেশ কার্যকর দুটি মাধ্যম রান্নায় পারদর্শী হলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলুন ও ভিডিও বানানোর শুরু করুন। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস থাকলে লাইভস্টিম করতে পারেন। এতে করে দর্শকদের বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর আপনি লাইভ স্ট্রিম এর মাধ্যমে সাথে সাথে দিতে পারবেন।
ইউটিউবে একটি সফল রান্নার চ্যানেল থেকে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করা সম্ভব। এমন কনটেন্ট বানান যা দর্শকদের কাছে ভালো লাগবে যেমন সহজ রেসিপি, ছোট ভিডিও, কম বাজেটের মধ্যে রান্নার টিপস, স্বাস্থ্যকর খাবার বানানো ইত্যাদি। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে রান্নার রেসিপি ব্লগিং থেকে আয় করা যায়।
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয়
অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা যায়। অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এখন মোবাইলের মাধ্যমেও করা সম্ভব।
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রি যে কাজগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খুব কম সময় করা যায় মূলত সে কাজগুলো এখন মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব। নিচে কিছু উদাহরণস্বরূপ ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
ফ্রিল্যান্সিংঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। যেমন Fiver, Freelancer, Upwork, Guru, People Per Hour ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলোতে সাধারণত ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা এবং সুযোগ দুটোই অনেক বেশি থাকে। আপনি আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন এখানে এরপর আপনাকে মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজ নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
অনলাইন সার্ভেঃ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে আয় করতে পারবেন। মূলত এই সার্ভেগুলোতে অংশগ্রহণ করে কিছু ব্যক্তিগত ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে এক থেকে দুই ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
ক্যাপচা পূরণঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার আরো একটি সহজ মাধ্যম হলো ক্যাপচা পূরণ করা। সাধারণত বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম গুলোতে এই ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়।
কপি পেস্টঃ ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজে এবং কম সময় করা যায় এমন একটি কাজ হল কপি পেস্ট করা এ ধরনের কাজের সাধারণত নির্দিষ্ট ডাটা গুলোকে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে কপি-পেস্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করতে হয়। কপি পেস্ট করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ও ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন লেখা অক্ষর সংখ্যা ইত্যাদি কপি পেস্ট করতে হয় কপি-পেস্ট এর মত ছোট ছোট কাজগুলোর জন্য ০.৫ ডলার থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। মোবাইলে এই ডাটা কপি পেস্ট এর কাজ করে প্রতি মাসে কয়েক শত আয় করা সম্ভব।
আর্টিকেল লিখে আয়
আর্টিকেল লিখে আয় করা যায় এটি ইতিমধ্যে অনেকেই জানে। তবে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে নয়তো আপনার আর্টিকেল কখনো বিক্রয় করতে পারবেন না কিংবা সেই আর্টিকেল থেকে আপনি কখনো ইনকাম করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে লিখতে শিখতে হবে।
আর আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ভবিষ্যত অনেক ভালো হবে। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটার এক্সপার্ট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ফাইবার, আপওয়ার্ক কিংবা freelancer.com ইত্যাদি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করার মাধ্যমে বিদেশি ক্লায়েন্ট বা বায়ারদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। এবং সেখানে প্রতি আর্টিকেল থেকে ৫০ থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন।
সর্বশেষ আলোচনা
উপরে যে সকল উপায়গুলো উল্লেখ করা হলো এ সকল উপায়গুলো মেয়েদের জন্য বাসায় বসে কাজ করার জন্য খুবই কার্যকরী এবং ১০০ পার্সেন্ট সত্যতা রয়েছে। শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলে মেয়ে উভয় এ কাজগুলো বাসায় বসে করতে পারবেন।
আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার কিছু কার্যকরী বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত এমন আরো পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেজ ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url