গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ জেনে নিন বিস্তারিত

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক সতর্ক থাকতে হয় এই সময়টাই। এবং এই সময় এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো কখনোই করা উচিত নয়। 

গর্ভাবস্থায়-কি-কি-কাজ-করা-নিষেধ

এই সময় মহিলাদের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায় শারীরিকভাবেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই সময়ে যে সকল কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে আসুন সে সম্পর্কে ধারনা নেই।

সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সহ জেনে নিন আরও কিছু তথ্য 

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ 

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ চলুন জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থা মহিলাদের জীবনের এক বিশেষ সময় এই সময়ে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে থাকে। এই সময় মহিলাদের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায় শারীরিকভাবেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

মেজাজ এর তারতম্য এই সময় হয়ে থাকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে। গর্ভাবস্থায় বিশেষ কোনো জটিলতা না থাকলে গর্ভবতী মহিলাদের সাধারণভাবে জীবন কাটাতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই সময় গর্ভবতী মায়েদের ঘরের হালকা পাতলা কাজ করার জন্য বলা হয়ে থাকে। তবে এই সময়ে যে সকল কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ভারী কাপড় ধোয়াঃ ভারী কিছু বহন করতে হবে এমন কোন কাজ গর্ভবতী মহিলারা করবেন না। যেমন এই সময় ভারী কাপড় ধোয়া বা যেকোনো ভারী আসবাব একদিক থেকে অন্য দিকে সরানোর কাজ করা যাবে না।

ভারী জিনিস তোলাঃ
এই সময় অতিরিক্ত সাবধানতার সাথে থাকতে হবে গর্ভবতী মায়েদের কে। তাই এ সময় ভারী কাপড় ধোয়ার সাথে সাথে ভারী জিনিস তোলাও একেবারে নিসিদ্ধ।

টিউবওয়েল চাপাঃ টিউবওয়েল চাপার ফলে গর্ভবতী মায়েদের পেটে প্রেসার পড়তে পারে এতে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে টিউবওয়েল চাপা থেকে এই সময় বিরত থাকাই ভালো।

উঁচু জায়গায় উঠাঃ গর্ভকালীন সময়ে উঁচু জায়গায় ওঠা খুবই রিস্ক। তাই এই সময় উঁচুতে উঠে কোন রকম কাজ না করাই ভালো। যেমন ঘরের পর্দা পাল্টানো বা ফ্যান পরিষ্কার করার মত কাজ এই সময় করবেন না উচুতে উঠে করতে হবে এরকম যে কোন কাজ গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা ভালো।

বর্জ্য পরিষ্কার করাঃ  বাড়িতে যদি কোন পশু থাকে বিশেষ করে বিড়ালের বর্জ্য গর্ভবতীরা যেন কোনমতে পরিষ্কার না করেন। বিড়ালের বর্জ্যে টক্সো প্লাজমা, গোনডি নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে যা গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। 

কিন্তু যদি এমন হয় একান্তই গর্ভবতী মহিলাকে পরিষ্কার করতে হয়, তাহলে খুবই সতর্কতার সাথে করতে হবে কাজটি হাতে গ্লাভস পরে। এবং কাজটি শেষ হয়ে গেলে খুব ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

গর্ভবতী মায়েদের শরীরে ঝাকি লাগে এমন কাজ করা যাবে না এবং দূরে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতীদের অন্তত দিনের মধ্যে দুই ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে। গর্ভস্থ শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ সময় গর্ভবতীকে প্রতিবেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কোন কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য

গর্ভাবস্থায় কোন কাজগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আসুন জেনে নেওয়া যাক। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের বিশেষ ধরনের যত্ন নিতে হয়। তবে যদি কেউ গরমের সময় গর্ভধারণ করে তাহলে এই গরম আরো বেশি অনুভূত হয় কেননা গর্ভাবস্থায় সাধারণত মহিলাদের শরীরে এমনিতেই রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই গরমে  যদি কিছু টিপস মেনে চলেন তাহলে অনেক উপকার পেতে পারেন এই সময়। নিম্নে কয়েকটি টিপস উল্লেখিত করা হলো। 

গর্ভাবস্থায়-কোন-কাজগুলো-স্বাস্থ্যের-জন্য-ভালো

প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়াঃ গর্ভকালীন সময়ে একটি খুবই সাধারণ সমস্যা হল পানি শূন্যতা। বিশেষ করে গরমের সময় প্রচুর ঘামার কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পানি শূন্যতা দূরীকরণে গর্ভবতী মায়েদের সারাদিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত দেহে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি প্রসাবের রঙ্গ পাল্টে হলুদ হয়ে যায়। 

এমন কোন সমস্যা দেখা দিলে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার যেমন ডাবের পানি, লাচ্চি, লেবু মিশ্রিত পানি, দই, ফলের জুস,   স্যুপ, শরবত ইত্যাদি এমন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আর প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এরূপ পানিও খাওয়াতে থাকতে হবে শরীর যদি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাকে স্যালাইন পানি খাওয়াতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াঃ গর্ভকালীন সময়ে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় বলে গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত বিশ্রামের দরকার হয়। এছাড়া এ সময় গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও জরুরী। গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকেও তাকে বিরত থাকতে হবে এই সময়। 

এ সময় চুলাতে রান্নার কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো। অন্য জনের সাহায্য নিয়ে এসব কাজ করা উচিত। ঘরের বিভিন্ন কাজ যদি একান্তই নিজেকেই করতে হয় তবে সেটা সকালের দিকে করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই সময় তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা কম থাকে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া এবং নিজের যত্ন নেওয়া এই সময় খুবই জরুরী।

নিয়মিত গোসল করাঃ
গরমের সময় বাহিরে তাপমাত্রা যেমন বেশি থাকে তেমন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি অনুভূত হতে পারে। এজন্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করা দরকার। পারলে দিনে একাধিকবার গোসল করে নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ঘুমাবার পূর্বে গোসল করে নিতে পারলে শরীরের তাপমাত্রা কমে এবং আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য।

বারবার খাওয়াঃ
গর্ভকালীন সময়ে খুবই স্বাভাবিক একটি সমস্যা হল বারবার বমি অনুভূত হওয়া বা বমি করা। বারবার বমি করার ফলে খাবারের প্রতি রুচি উঠে যায় এবং খাবার খেতে অনিচ্ছুক প্রকাশ পায়। সেই ক্ষেত্রে আপনি যে কাজটি করতে পারেন সেটি হল অল্প করে বার বার খাওয়া। 

একেবারে আপনি যদি বেশি করে খেতে না পারেন তাহলে বারেবারে পুষ্টিকর খাবার আপনি খেতে পারেন। কেননা এই সময় না খেয়ে থাকাটাও খুব একটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া প্রয়োজন।‌

বাইরের খাবার না খাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা বাইরের খাবার আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। বাইরের খাবারে গরমের সময় মাছি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব্য বেড়ে যায় এবং খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। 

ফলে বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই ছড়ায় এ সকল খাদ্য থেকে যেমন কলেরা, ডায়রিয়া, জন্ডিসহ এ সকল ধরনের রোগ। তাই বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সবাইকে বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য রাস্তার এ সকল খোলা খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। অতএব এ সকল বাইরে খাবার খাওয়া থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ভারী জিনিস তুললে কি হয়

গর্ভাবস্থায় ভারী জিনিস তুললে কি হয় আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় ভারী কোন কিছু না তোলাটাই ভালো। ভারি জিনিস তোলার ফলে অকাল প্রসব এবং কম জন্ম ওজনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। একটি বস্তুকে ভুল ভাবে উত্তোলন করা, ভারী হোক বা না হোক টানা পেশিও হতে পারে। ভারী উত্তোলন থেকে একটি সম্ভাব্য গ্রুপের জটিলতা একটি হার্নিয়া। 

 আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোন পাশ হয়ে ঘুমানো উচিত

কর্ম ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে ভারী জিনিস তোলা গর্ভপাত এবং অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে এই ঝুঁকি গুলো গর্ভবতী মহিলাদের মাঝে পাওয়া গেছে যারা প্রতিদিন ১০ বারের বেশি ২০ পাউন্ড এর চেয়ে বেশি ভারী বস্তু তুলেছেন। তবে তার মানে এই নয় যে এই সমস্যাগুলো আপনাকে প্রভাবিত করবে। তবে সাবধানতা বজায় রাখাটাই ভালো। গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত দুটি পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

  • ভারী কাজ না করা যেমন- নিচে বসে ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, পানি ভরা বালতি তোলা, বাচ্চা কোলে নিয়ে হাটা ইত্যাদি।
  • ভারী জিনিস না তোলা

এই দুটি কাজ না করতে পরামর্শ দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে। গর্ভবতী মায়েদের অনেকেরই প্লাস ইন্টার নিচের দিকে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ব্লিডিং শুরু হয়ে যেতে পারে ভারী জিনিস তোলার ফলে। এবং বাচ্চার জন্য অ্যামনিওটিক ফ্লইড এর একটা পানির থলে থাকে সেটা ফেটে যেতে পারে।  এছাড়াও পরোক্ষ কারণ তো অনেক আছে যেমন ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে, বেশিতে টান লাগতে পারে, ভারী জিনিসের উপর পড়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন শুরু হয়

গর্ভাবস্থার লক্ষণ কখন থেকে শুরু হয় আসুন জেনে নেই। প্রেগনেন্সি বা গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের জন্য একটি সুন্দর অনুভূতি এই অবস্থার কিছু প্রাথমিক লক্ষণও রয়েছে যা থেকে প্রেগনেন্সির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আসুন প্রেগনেন্সির প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নিই।

  • পিরিয়ড মিস হওয়াঃ প্রেগনেন্সির প্রথম লক্ষন হল পিরিয়ড মিস হওয়া। যদি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের আগে পিরিয়ড নিয়মিত থাকে এবং সম্পর্কের পরে পিরিয়ড মিস হয়ে যায় তবে এটি প্রেগনেন্সির দিকে ইঙ্গিত করে।
  • ক্লান্তি এবং দুর্বলতাঃ প্রেগনেন্সির সময় প্রজেস্টেরন নামে হরমোনের স্তর শরীরে বেড়ে যায়। এর ফলে গর্ভবতী মহিলাদের ক্লান্তি এবং দুর্বলতার সম্মুখীন হতে হয়।এটিও একটি প্রেগনেন্সি বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।
  • স্তনের সংবেদনশীলতাঃ প্রেগনেন্সির কারণে স্তনে পরিবর্তন হয় যা খুব স্বাভাবিক। স্তনের ফোলা ভাব ব্যথা এবং সংবেদনশীলতা প্রেগনেন্সিরও একটি লক্ষণ। এর ফলে (এরিওলা) এর রং এর আকারে পরিবর্তন দেখা যায়।
  • বমি বমি ভাবঃ প্রেগনেন্সির সময় শরীরের অনেক ধরনের পরিবর্তন হয় এর মধ্যে গর্ভবতী মহিলাদের সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার। এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় মর্নিং সিকনেস ও বলা হয়ে থাকে।
  • বারবার প্রসব হওয়াঃ প্রেগনেন্সির সময় গর্ভাশয়ের কারণে ব্লাডারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যাওয়ার ফলে বারবার প্রসব এর চাপ অনুভব হয়। এটি একটি প্রাথমিক লক্ষণ যা ক্রমাগত থাকতে পারে এবং এটি সময়ের সাথে সাথে বেড়ে যেতে পারে।
  • মুড সুইং হওয়াঃ সাধারণত পিরিয়ডের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুড সুইং দেখা যায়। তবে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পরে যদি পিরিয়ড মিস হয় এবং হঠাৎ মুড সুইং হয় তবেও এটি একটি প্রাথমিক লক্ষণ প্রেগন্যান্সি ইঙ্গিত হিসেবে। এই সকল কারণবাদে আরও অন্যান্য কারণ ও গর্ভবতী মহিলারা অনুভব করতে পারেন। 

যেযন  মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা, প্রেগনেন্সি প্রাথমিক দিনগুলোতে নাক বন্ধ থাকা, পেট ফোলা, ত্বকের পরিবর্তন ইত্যাদি এই সকল বেশিরভাগ লক্ষণ প্রেগনেন্সির পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার দিকেও ইঙ্গিত করতে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগনেন্সি টেস্ট পরীক্ষা করুন।‌

গর্ভাবস্থায় সুস্থ বাচ্চার জন্য কি খাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় সুস্থ বাচ্চার জন্য কি খাওয়া উচিত জানতে চান? তাহলে চলুন জেনে নিই এই সময় সুস্থ বাচ্চার জন্য গর্ভবতী মায়েদের কি কি খাওয়া প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় নিজের এবং বাচ্চা সুস্থতার জন্য সব সময় প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন মাছ, মাংস, ডিম, পাঁচ মিশালি ডাল, ফলমূল এগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়। 

গর্ভাবস্থায়-সুস্থ-বাচ্চার-জন্য-কি-খাওয়া-উচিত

গর্ভাবস্থায় খাবারের দিক দিয়ে সব সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন। এই সময় সবকিছু অতিরিক্ত না খেয়ে কি খেলে বাচ্চার ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হবে সেটা খেতে হবে। এ সময় যে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন

প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এমন খাবার শিশুর পেশী ও টিস্যু গঠনে সহায়তা করে থাকে। যেমন মুরগি, মাছ, ডিম, সয়াবিন, বাদাম, মটরশুঁটি খেতে হবে এছাড়াও খেজুর কিসমিস নরম খিচুড়ি খেতে পারেন প্রোটিনের জন্য।

ফলমূল এবং সবজিঃ ফলমূল এবং সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল ও আঁশ থাকে। যা গর্ভবতী মায়ের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সহায়তা করে। এই সময় ফলের মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। তাই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন অন্যান্য ফলও খেতে পারেন। বিভিন্ন তাজা শাকসবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে বাসায় খেলেও উপকার মেলে।

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারঃ শিশুর হাড় গঠনে সহায়তার পাশাপাশি ওজন উচ্চতা ও শারীরিক গঠনের সহায়তা করে থাকে দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার। যেমন দই, পনির ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সকল খাবার। দুধ বা দই এ সময় শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। 

তাই নিয়মিত দুধ খাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে এই অবস্থায়। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে খেতে পারেন ডিমের কুসুম, কমলা, মুরগি বা গরু ছাগলের কলিজা, কচু শাক, ছোট মাছ ইত্যাদি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। ক্যালসিয়াম ভালোভাবে কাজে লাগাতে ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকা যাবে না এজন্য প্রতিদিন গায়ে হালকা রোদ লাগাতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কাজ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন। গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় ?

উত্তর। গর্ভাবস্থায় বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলে কোমরে ব্যথা সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্ন। গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ?

উত্তর। ভারী জিনিস তোলা, বেশিক্ষণ হাঁটা, ও চিত হয়ে শুয়ে থাকা,‌ বাইরের খাবার খাওয়া।

প্রশ্ন।
গর্ভাবস্থায় কি প্রতিদিন হাঁটা উচিত?

উত্তর।
বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল মহিলারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা অপরিকল্পিত সিজারিয়ান সেকশন হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

প্রশ্ন।
গর্ভাবস্থায় ঘরের কাজ করা যাবে কি?

উত্তর। গর্ভাবস্থায় একটি অজুহাত নয়, ঘরের কাছ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। বেশির ভাগই পুরোপুরি নিরাপদ যদিও। তবে শুধুমাত্র কয়েকটি কাজের জন্য আপনার সঙ্গীর উপর নির্ভর করা ভালো।

লেখকের শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তারপর ও আরও একবার বলি সর্বকালীন সময় ভারী কাজ করবেন না গর্ভবতীর শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ এবং দূরে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন। এবং গর্ভবতীকে দিনের বেলা অন্তত দুই ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে। আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ সহ আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

এবং আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা এবং লাইফস্টাইল সম্পর্কিত এমন আরো পোস্ট পড়তে রতে আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url