পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে অনেক। এই পাতাকে কিছু কিছু রোগের মহৌষধ ও বলা হয়ে থাকে। কমবেশি সবার বাসাতেই আমরা এই উদ্ভিদটির দেখা পেয়ে থাকি। এটি ছোট বড় সবাই খেতে পারে।
অনেকেই জানেন না এখনো পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তাদের উদ্দেশ্যে আজকের
এই পোস্টটি। নিচে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো।
সূচিপত্রঃ পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা
- পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম
- পাথরকুচি পাতার উপকারিতা
- পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম
- পাথরকুচি পাতার ব্যবহার
- পাথরকুচি কি ধরনের উদ্ভিদ ও এর বংশবিস্তার
- পাথরকুচি দেখতে কেমন
- পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক
- পাথরকুচি পাতা কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়
- পাথরকুচি পাতা কোথায় পাওয়া যায়
- পাথরকুচি পাতা সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। যেভাবে খাবেন পাথরকুচি পাতা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাথরকুচি পাতার রস বের করে সেই পাতার রসটি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে এটির পাতা মুখে দিয়ে চিবিয়েও খেতে পারবেন। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকের পেট ফুলে যায় প্রসব আটকে থাকে তার জন্য আপনি তখন হালকা পরিমাণ পাথরকুচি পাতার রস বের করে সেটিকে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ জ্বরের সময় কি খাওয়া উচিত
এভাবে পাথরকুচির পাতা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাথরকুচি পাতা সকলেই খেতে পারবেন ছোট থেকে বড় সকলের জন্য এটি উন্মুক্ত। কারোর যদি এটি খেতে অসুবিধায় হয়ে থাকে তাহলে এটি রস বের করে এর সাথে হালকা পরিমাণে চিনি মিশিয়েও পান করা যেতে পারে এতে করে পাথরকুচির পাতা খেতে কোন অসুবিধে হবে না।
উপরিক্ত সকল উপায় ও যদি আপনি পাথরকুচির পাতা খেতে না পারেন তাহলে আপনি এটি ভর্তা করে খেতে পারেন। এতে আপনার খেতে কোনরকম অসুবিধা হবে না নিচে এর উপকরণ প্রণালী গুলো দেওয়া হল।
- ৭ থেকে ৮ টি পাথরকুচির পাতা
- ২ টি শুকনো মরিচ পোড়া
- ১ টি পেঁয়াজ কুচি
- ৪ টি ধনেপাতা কুচি
- ২ টি কাঁচামরিচ কুচি
- ১/২ টেবিল চামচ সরিষার তেল
- প্রয়োজন মত লবণ
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে পাথরকুচি পাতাকে ভালোভাবে ধুয়ে কুচি করে নিতে হবে। তারপর তেল ছাড়া সবগুলো উপকরণ দিয়ে ভালো করে খোঁজ নিয়ে সবশেষে সরিষার তেল মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার পাথরকুচি পাতার ভর্তা। যারা অন্যান্য উপায়ে এই পাতাটি খেতে পারেন না তাদের জন্য পাথরকুচির ভর্তা খুবই সহজলভ্য হবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে।
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেকগুলো। এটি দেখতে কিছুটা ডিমের আকৃতির মত। এই পাতার চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয় অনেক সময় গাছের বয়স হলে সেই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলে অনায়াসে চারা পাওয়া যায় তবে জায়গায় দ্রুত বাড়ে এই গাছটি।
প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে এটি। গাছটি হয় ডেড় থেকে দুই ফুট উঁচু। ভেষজ চিকিৎসার মধ্যে এটি অন্যতম উপকারী চিকিৎসকদের মতে পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে এসে থাকে। এই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
- কিডনির পাথর অপসারণে
- রক্তপিণ্ড
- পেট ফাঁপা
- সর্দি সমস্যায়
- ত্বকের যত্নে
- পেট ব্যথায়
কিডনির পাথর অপসারণঃ অনেকেই হয়তো শুনে থাকেন পাথরকুচি পাতা দ্বারা কিডনির পাথর অপসারণ করা যায়। হ্যাঁ কথাটি একেবারে সত্য, পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গল গন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে থাকে। দিনে দু থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খেলে কিডনির পাথর হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
রক্তপিণ্ডঃ পিত্ত জনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে এই সমস্যায় দিনে দুবেলা এক চামচ পাথরকুচির পাতার রস দুদিন খাওয়ালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
পেট ফাঁপাঃ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পেট ফুলে যায়, প্রসাব আটকে আসে এ সকল সমস্যাগুলো দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধানে একটু চিনির সাথে দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা কমে আসে সাথে অন্যান্য সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
সর্দি সমস্যায়ঃ আপনার সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে ওষুধ সেবন না করে তার বিকল্প হিসেবে পাথরকুচির পাতা খেতে পারেন। এতেও অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়। পাথরকুচির পাতার রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে, এবং গরম অবস্থায় তার সাথে সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। তিন চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয় এই পরিমাণ মিসালে ভালো হবে। তা থেকে ২ চা চামচ নিয়ে সকালে ও বিকালে দুবার খেলে সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
ত্বকের যত্নেঃ পাথরকুচি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পানি যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা রাখে। ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর করতে পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগালে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
পেট ব্যথায়ঃ পেট ব্যথায় পাথরকুচি পাতার রস পেটে মালিশ করলে পেটব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশুদের পেটব্যথা হলে এটি খুবই ভালো। ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।
পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম
পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম রয়েছে। এটি একটি ঔষধি উদ্ভিদ পাথরকুচির বোটানিক্যাল নাম Kalanchoe pinnata pers অন্য একটি পাথরকুচির পাতা অনেকটা গোল তার বোটানিক্যাল নাম Berginia ligulata Wall ইটের বৈজ্ঞানিক শ্রেণী বিন্যাস নিচে উল্লেখ করা হলো। রোগ প্রতিরোধে অতুলনীয় এটি। পুরনো সর্দিতে এই পাতার রস গরম করে খেলে উপকার হয়। ছোট বড় সবার মূত্র রোধে এই পাতার রস খাওয়ানো হয়। খাওয়ার মাত্রা বড়দের বেশি। মুত্রনালী যে কোন সংক্রমণের রক্তপৃতে পেট ফাঁপায়ে শিশুদের পেট ব্যথায় মৃগী রোগীদের পাথরকুচি রস খাওয়ানো হয়।
বৈজ্ঞানিক | শ্রেণীবিন্যাস |
---|---|
জগৎ | Plantae |
শ্রেণীবিহীন | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন | Core eudicots |
বর্গ | Saxifragales |
পরিবার | Crassulaceae |
গণ | Bryophyllum |
প্রজাতি | B. pinnatum |
পাথরকুচি পাতার ব্যবহার
পাথরকুচি পাতার ব্যবহার বিভিন্ন সমস্যা অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন পুরনো সর্দিতে এই পাতার রস গরম করে খেলে উপকার মিলে। মূত্রনালী যে কোন সংক্রমণে রক্তপিটতে পেট ফাটায় শিশুদের পেট ব্যথায় মৃগী রোগীদের পাথরকুচি রস খাওয়ানো হয়ে থাকে। আবার ত্বকের কাঁটা অংশে দ্রুত জ্বালাপোড়া কমানোর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই পাতার রসে।
পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগালে মুখে মধ্যে থাকা ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়। পাথরকুচি পাতা কিডনি ও গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। পাথরকুচির পাতার রস দুই থেকে ১০ ফোটা খাওয়ালে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. অমিত ভার্মার মতে পাথরকুচি পাতার রস কিডনির পাথর অপসারণে খুবই কার্যকরী। যদি কেউ পাইলস বা শ্বেতসার রোগে ভোগে থাকেন তবে এর পাতা পিষে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যাগুলোর রোগ শিকড় থেকে নির্মল হয়ে যায়।
পাথরকুচি কি ধরনের উদ্ভিদ ও এর বংশবিস্তার
পাথরকুচি বিরুৎ জাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ। আবার এটি কে একটি শাখা বিহীন গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বলা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদে পাথরকুচি পাতাকে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয় পাথরকুচির বোটানিক্যাল নাম Kalanchoe pinnata। এটি নিয়মিত সেবনে রোগীরা পেটে পাথর থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, জনি পথে সংক্রমণ, রক্তচাপ ইত্যাদি নানা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আয়ুর্বেদে পাথরকুচি পাতা থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়। সাধারণত পাথরকুচির প্রজনন ঘটে থাকে।
- কাণ্ডের মাধ্যমে
- ফুলের মাধ্যমে
- পাতার মাধ্যমে
- মূলের মাধ্যমে
এ সকল উপায় বা মাধ্যম দ্বারা পাথরকুচি পাতার প্রজনন ঘটে থাকে অর্থাৎ এটির বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। যেভাবে খাবেন পাথরকুচি পাতা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাথরকুচি পাতার রস বের করে সেই পাতার রসটি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে এটির পাতা মুখে দিয়ে চিবিয়েও খেতে পারবেন। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকের পেট ফুলে যায় প্রসব আটকে থাকে তার জন্য আপনি তখন হালকা পরিমাণ পাথরকুচি পাতার রস বের করে সেটিকে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরও
পড়ুনঃ জ্বরের সময় কি খাওয়া উচিত
এভাবে পাথরকুচির পাতা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাথরকুচি পাতা সকলেই খেতে পারবেন ছোট থেকে বড় সকলের জন্য এটি উন্মুক্ত। কারোর যদি এটি খেতে অসুবিধায় হয়ে থাকে তাহলে এটি রস বের করে এর সাথে হালকা পরিমাণে চিনি মিশিয়েও পান করা যেতে পারে এতে করে পাথরকুচির পাতা খেতে কোন অসুবিধে হবে না।
উপরিক্ত সকল উপায় ও যদি আপনি পাথরকুচির পাতা খেতে না পারেন তাহলে আপনি এটি ভর্তা
করে খেতে পারেন। এতে আপনার খেতে কোনরকম অসুবিধা হবে না নিচে এর উপকরণ প্রণালী
গুলো দেওয়া হল।
- ৭ থেকে ৮ টি পাথরকুচির পাতা
- ২ টি শুকনো মরিচ পোড়া
- ১ টি পেঁয়াজ কুচি
- ৪ টি ধনেপাতা কুচি
- ২ টি কাঁচামরিচ কুচি
- ১/২ টেবিল চামচ সরিষার তেল
- প্রয়োজন মত লবণ
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে পাথরকুচি পাতাকে ভালোভাবে ধুয়ে কুচি করে নিতে
হবে। তারপর তেল ছাড়া সবগুলো উপকরণ দিয়ে ভালো করে খোঁজ নিয়ে সবশেষে সরিষার তেল
মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার পাথরকুচি পাতার ভর্তা। যারা অন্যান্য উপায়ে
এই পাতাটি খেতে পারেন না তাদের জন্য পাথরকুচির ভর্তা খুবই সহজলভ্য হবে এটি
খাওয়ার ক্ষেত্রে।
পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম
পাথরকুচি পাতার বিজ্ঞানসম্মত নাম রয়েছে। এটি একটি ঔষধি উদ্ভিদ পাথরকুচির বোটানিক্যাল নাম Kalanchoe pinnata pers অন্য একটি পাথরকুচির পাতা অনেকটা গোল তার বোটানিক্যাল নাম Berginia ligulata Wall ইটের বৈজ্ঞানিক শ্রেণী বিন্যাস নিচে উল্লেখ করা হলো। রোগ প্রতিরোধে অতুলনীয় এটি। পুরনো সর্দিতে এই পাতার রস গরম করে খেলে উপকার হয়। ছোট বড় সবার মূত্র রোধে এই পাতার রস খাওয়ানো হয়। খাওয়ার মাত্রা বড়দের বেশি। মুত্রনালী যে কোন সংক্রমণের রক্তপৃতে পেট ফাঁপায়ে শিশুদের পেট ব্যথায় মৃগী রোগীদের পাথরকুচি রস খাওয়ানো হয়।
বৈজ্ঞানিক | শ্রেণীবিন্যাস |
---|---|
জগৎ | Plantae |
শ্রেণীবিহীন | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন | Core eudicots |
বর্গ | Saxifragales |
পরিবার | Crassulaceae |
গণ | Bryophyllum |
প্রজাতি | B. pinnatum |
পাথরকুচি পাতার ব্যবহার
পাথরকুচি পাতার ব্যবহার বিভিন্ন সমস্যা অনুযায়ী আলাদা আলাদা ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন পুরনো সর্দিতে এই পাতার রস গরম করে খেলে উপকার মিলে। মূত্রনালী যে কোন সংক্রমণে রক্তপিটতে পেট ফাটায় শিশুদের পেট ব্যথায় মৃগী রোগীদের পাথরকুচি রস খাওয়ানো হয়ে থাকে। আবার ত্বকের কাঁটা অংশে দ্রুত জ্বালাপোড়া কমানোর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই পাতার রসে।
পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগালে মুখে মধ্যে থাকা ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়। পাথরকুচি পাতা কিডনি ও গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। পাথরকুচির পাতার রস দুই থেকে ১০ ফোটা খাওয়ালে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. অমিত ভার্মার মতে পাথরকুচি পাতার রস কিডনির পাথর
অপসারণে খুবই কার্যকরী। যদি কেউ পাইলস বা শ্বেতসার রোগে ভোগে থাকেন তবে এর পাতা
পিষে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে কিছুদিনের মধ্যেই এই
সমস্যাগুলোর রোগ শিকড় থেকে নির্মল হয়ে যায়।
পাথরকুচি কি ধরনের উদ্ভিদ ও এর বংশবিস্তার
পাথরকুচি বিরুৎ জাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ। আবার এটি কে একটি শাখা বিহীন গুল্ম
জাতীয় উদ্ভিদ বলা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদে পাথরকুচি পাতাকে স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয় পাথরকুচির বোটানিক্যাল নাম
Kalanchoe pinnata। এটি নিয়মিত সেবনে রোগীরা পেটে পাথর থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, জনি পথে
সংক্রমণ, রক্তচাপ ইত্যাদি নানা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আয়ুর্বেদে
পাথরকুচি পাতা থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়। সাধারণত পাথরকুচির প্রজনন ঘটে
থাকে।
- কাণ্ডের মাধ্যমে
- ফুলের মাধ্যমে
- পাতার মাধ্যমে
- মূলের মাধ্যমে
এ সকল উপায় বা মাধ্যম দ্বারা পাথরকুচি পাতার প্রজনন ঘটে থাকে অর্থাৎ এটির
বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
পাথরকুচি দেখতে কেমন
পাথরকুচি পাতা দের থেকে দুই ফুট উঁচু হয়ে থাকে এর পাতা মাংসের ও মসৃণ আকৃতি
অনেকটা ডিমের মতো দেখায় চারপাশে অনেকগুলো ছোট ছোট গোল খাজ থাকে এই কাজ থেকে নতুন
চারা জন্ম হয়। নিচে এর ছবি দেওয়া হল।
পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক
পাথরকুচি পাতা যেমন অনেক উপকারী এবং ঔষধি একটি উদ্ভিদ। তেমনি এর অনেকগুলো ক্ষতিকর
দিক ও রয়েছে আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
- পাথরকুচি পাতার রস খুব বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে
- যাদের নিম্ন রক্তচাপে সমস্যা রয়েছে তারা এই পাতার রস খেলে রক্তচাপ আরো কম হতে পারে তাদের জন্য তাই পাথরকুচি পাতার অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত
- গর্ভধারণকালে পাথরকুচি পাতা একেবারে খাওয়া উচিত নয় কেননা এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
- পাথরকুচি পাতার রস নিয়মিত খেলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয় এবং ক্ষুধা মন্দা দেখা দিতে পারে
- পাথরকুচি পাতা অন্য উদ্ভিদের অর্থাৎ তার কাছাকাছি অবস্থানরত অন্যান্য উদ্ভিদ বা গাছে জন্য ক্ষতিসাধন করে থাকে
- এটি বেশি পরিমাণে খেলে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং পিত্তথলির সমস্যা দেখা দিতে পারে
পাথরকুচি পাতা কোথায় পাওয়া যায়
পাথরকুচি পাতা সব জায়গায় দেখা মিললেও চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচু
জলাদ্র এলাকায় এটি বেশি পরিমাণে দেখা যায় পাথরকুচি একটি শাখা বিহীন গুল্ম
জাতীয় উদ্ভিদ সাধারণত আধা মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এই উদ্ভিদটি তবে
ক্ষেত্রে বিশেষে এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা গিয়েছে এটিকে।
পাথরকুচি পাতা কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়
পাথরকুচির পাতার যে সকল কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সে সকল সমস্যা বা কাজ ক্ষেত্র
গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- পেটের সমস্যা দূর করায়
- জন্ডিস ভালো করতে
- কিডনিতে পাথর দূর করতে
- প্রসাবের সমস্যায়
- শিশুদের পেট ব্যথা কমাতে
- মৃগী রোগ থেকে মুক্তি পেতে
- কাটা স্থানে পোকামাকড় কামড়ালে
- ডায়রিয়া ও আমাশয় জনিত রোগে
- হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে
- মাথা ব্যথা কমাতে
- ঠান্ডা জনিত রোগের মোকাবেলায়
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে
- পুরাতন সর্দি কাশি দূর করতে
পাথরকুচি পাতা এ সকল সমস্যার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে থাকে এটি খুবই উপকারী একটি
উদ্ভিদ এটাকে উদ্ভিদ বলা হয়ে থাকে। অতএব পাথরকুচি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম
পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের সকলেরই এটি সেবন করা প্রয়োজন।
পাথরকুচি পাতা সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা, রোগ নিরাময়ের জন্য পাথরকুচি পাতা খুবই উপকারী তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পাথরকুচি পাতা ব্যবহার করা উচিত অনেকের বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণে পাথরকুচি পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তবে অপকারের যে পাতার উপকারিতা বেশি তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ অনুযায়ী পাথরকুচি পাতা খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
উপরিউক্ত পোষ্টের মাধ্যমে আমরা পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা এবং এটি
ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি আমাদের
পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। লাইফ স্টাইল এবং সুস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন
আরো পোস্ট পড়তে তে আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url