ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ জেনে নিন বিস্তারিত
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ জেনে নিন বিস্তারিত। ঘনঘন প্রসাব বা অধিক পরিমাণে প্রসব কোন রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ। এর কারণে শরীরের জল শূন্যতা, জলের ভারসাম্যহীনতা, সোডিয়ামে ভারসাম্যহীন, ও তার সমস্যা হতে পারে।
তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কিনা তা
পরীক্ষা করে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। বারবার প্রসব হওয়া কিসের লক্ষণ আসুন সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়।
সূচিপত্রঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ জেনে নিন বিস্তারিত
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ
- একজন সুস্থ মানুষের দিনে কতবার প্রসব হয়
- পানি খাওয়ার কত সময় পর প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক
- পানি কম খেলে প্রসাব হলুদ হয় কেন
- ঘনঘন প্রসাব হলে কি খাওয়া উচিত
- শীতের দিনে কতবার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক
- ঘনঘন প্রসাব থেকে মুক্তির ওষুধ
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- লেখক এর শেষ কথা
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ আসুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
যায়। ঘনঘন প্রসাব হলো সারাদিনের গড়ের সাত থেকে আট বার বা এর চেয়েও বেশি প্রসব
করা। এটি যে কারোর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে তবে এটি সত্তর বছরের বেশি বয়সী
ব্যক্তিদের, গর্ভবতী মায়েদের এবং একটি বর্ধিত প্রস্টেট যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে
বেশি লক্ষণ দেখা যায়। তবে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো মূত্রনালী সংক্রমণ। বারবার
প্রসব হওয়ার কারণ হতে পারে।
- মূত্রনালীর সংক্রমণ
- গর্ভাবস্থায়
- ডায়াবেটিস
- বর্ধিত প্রোস্টেট
মূত্রনালী সংক্রমণঃ ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন ইউটিআই নামেও পরিচিত হল মুত্রনালির একটি সংক্রমণ যা সাধারণ নত ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের মতো জীবাণু দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে যার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া হলো সবচেয়ে সাধারণ কারণ। একটি ইউটিআই মূত্র তন্ত্রের যেকোনো অঞ্চলে ঘটতে পারে।
এবং মূত্রনালী সংক্রমণ পুরস্কার তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এ অবস্থা
খুবই কষ্টকর এবং হতে পারে মুত্রাশয় কিডনির মূত্রনালী এবং মূত্রনালী কে প্রভাবিত
করতে পারে। ইউটিআই কিডনিতে ছড়িয়ে পড়লে এ অবস্থার পরিণতি গুরুত্ব হতে পারে সেই
ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় ঘনঘন প্রসব হওয়া খুবই স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে আপনার ঘন
ঘন প্রসাবের সমস্যা শুরু হতে পারে পরবর্তীতে গর্ভাবস্থায় মাসে তিন মাসে প্রসাব
হওয়ার মাত্রা অন্যান্য সমাসগুলোর তুলনায় কিছুটা কমেও যেতে পারে তবে গর্ভাবস্থা
শেষ দিন মাসে থেকে আবারও ঘন ঘন প্রসব হওয়ার হার আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে
যায়।
গর্ভাবস্থায় প্রথম কিছু সপ্তাহের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের মাত্রার
পরিবর্তনের কারণে কিডনির প্রসাব তৈরি করা ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যায় ফলে কিডনি
আরো বেশি করে প্রসব তৈরি কাজ করে থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রথম কিছু সপ্তাহের শিশু তল
পেটের নিচের দিকে মূত্রথলির পেছনে থাকে এ কারণে মূত্রথলিতে চাপ লাগার ফলে প্রসবের
বেগ বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসঃ চিকিৎসকরা বলেছেন ঘনঘন বা
অধিক প্রসাব ডায়াবেটিসের প্রথম লক্ষণ হলেও অন্যান্য সমস্যার কারণেও এটি হতে
পারে। এটি কোন রোগ বা অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ঘনঘন
প্রস্রাব রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রার ফলে প্রসাবের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কেননা
কিডনি অতিরিক্ত গ্লুকোজ অপসারণ করতে কাজ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দ্বারা নির্ধারিত
ডায়েট, ব্যায়াম ও ওষুধের মাধ্যমে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা। তবে
ঘনঘন প্রসাব মানে ডায়াবেটিসের লক্ষণ নাও হতে পারে অন্যান্য রোগের লক্ষণও দেখা
দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে।
বর্ধিত প্রস্টেটঃ পুরুষদের জন্মের সময় পুরুষদের নিম্ন
নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রস্টেট হল একটি গল্ফ বল আকারের গ্রন্থি যা কিছু তরল
তৈরি করে যা বীর্যপাতের সময় বেরিয়ে আসে। একটি বর্ধিত প্রোস্টেট বা খুব কমই
প্রোস্টেট টিউমার আপনার মূত্রতন্ত্রের উপর চাপ দিতে পারে এবং ঘনঘন প্রসাবের কারণ
হতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের দিনে কতবার প্রসব হয়
একজন সুস্থ মানুষের দিনে ৬ থেকে ৮ বার প্রসাব করা স্বাভাবিক। প্রতিদিন চার থেকে দশ বার প্রসব করা স্বাস্থ্যকর ধরে নেওয়া যায়। তবে এরঊর্ধ্বে গেলে আপনাকে জানতে হবে আপনার মূত্রথলির কোন সমস্যা আছে। সারাদিনের মধ্যে একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত।
সেই অনুযায়ী সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক কারো জন্য দিনে ছয় থেকে আটবার প্রসব করা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে প্রতিদিন চার থেকে দশ বার প্রসাব করা স্বাস্থ্য করে ধরে নেওয়া যায় তবে এর বেশি হলে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেউ যদি দিনে ৭ থেকে ১০ বারের বেশি প্রসাব করে তাহলে তা হতে পারে টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে একদিনে ৩ লিটার থেকে ২০ লিটার পর্যন্ত প্রসব হতে পারে। এমনটা ঘটলে সেই ব্যক্তি সারাক্ষণই পানির তৃষ্ণা পাবে যতবারই পানি পান করুক না কেন তার মুখ শুকনো দেখাবে। দিনের মধ্যে খুব জোর দশবার প্রসব হওয়াটা স্বাভাবিক ইতিমধ্যে আপনাদের জানানো হয়েছে।
এর বেশি সময় যদি প্রসব হতে দেখা যায় তাহলে আপনাদের বুঝতে হবে অবশ্যই কোন সমস্যা
আছে। এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ সহ আরো অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও দেখা দিতে
পারে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।
পানি খাওয়ার কত সময় পর প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক
প্রতি ৯০ মিনিট থেকে দুই ঘন্টায় একবার প্রসব হওয়া স্বাভাবিক। প্রসাবের রং হলুদ হলে ৬ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় পর পর প্রসব হলে ধরে নিতে পারেন আপনার শরীরে আদ্রতার অভাব রয়েছে। আবার আধা ঘন্টা পর পর প্রসব হলে আর তার রঙ পানির মতো সচ্ছ হলে বুঝতে হবে আপনি পানি প্রয়োজনে বেশি পান করছেন।
সারাদিনে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য অন্তত ২ লিটার পানি পান করা উচিত সে অনুযায়ী সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক কারো জন্য দিনে ৬ থেকে ৮ বার প্রসব করা স্বাভাবিক। এক লিটার পানি পান করার পরে ৩০ মিনিট বা ১৫ মিনিট পর প্রসাব হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে যদি অল্প পানি পান করার পরেও বারবার প্রসব হয় এবং প্রসাদ ক্লিয়ার হয়না তবে আপনার over active bladder হয়ে থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। তবে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে শরীরের বিভিন্ন অবস্থা অনুযায়ী পানি খাওয়ার ঠিক কত সময় পর পর প্রসব হবে এটা নির্ধারিত হয়ে থাকে। যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি আলাদা হতে পারে আবার গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেও প্রসবের সময় আলাদা হতে পারে।
তবে আপনার কাছে অস্বাভাবিক কিছু মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলাটাই
উত্তম বলে আমি মনে করি। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন পানি খাওয়ার ঠিক কত সময় পর
প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক এবং আপনার অবস্থা অনুযায়ী সে সময় নির্ধারণ করতে পারবেন।
পানি কম খেলে প্রসাব হলুদ হয় কেন
পানি কম খাওয়ার ফলে প্রসব হলুদ হতে পারে কেননা শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট উৎপাদনের কারণে সাধারণত প্রসবের রং ফ্যাকাসে হয়। তবে পানি কম খেলে প্রসাবের রং হলুদ হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। শরীর যখন পানি শূন্য হয়ে পড়ে তখন কিডনি প্রসাব থেকে জল শোষণ করে ফলে প্রসাবের স্বাভাবিক রং ঘনীভূত হয়ে হলুদ রঙে ধারণ করে।
ইউরোবিলিন এর ঘনত্ব যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন প্রসাবের রং ও গাড় হলুদ হয়।
এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হলো কারো হলুদ প্রসবের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। বিশেষ করে পানি
কম খাওয়ার কারণেই প্রসাবের রং হলুদ হয়ে থাকে এই বিষয়টা সকলেই জানে। সে
ক্ষেত্রে আমরা যা করতে পারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিনিয়ত পানি পান করতে হবে।
দিনে অন্তত দুই লিটারের বেশি পান করা উচিত।
ঘনঘন প্রসব হলে কি খাওয়া উচিত
ঘনঘন প্রসাব একটি অস্বস্তিকর এবং বিরক্তি কর সমস্যা হতে পারে সবার জন্যই। যা
অনেকই তাদের জীবনে কোনো না কোনো সময় সম্মুখীন হয়েছেধ। ঘন ঘন প্রসব করার তাগি
দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং একজনের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত
করতে পারে। তাই আজকে আলোচনা করব কোন কোন খাবার গুলো দ্বারা ঘন ঘন প্রসব হওয়া
থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
তুলসী পাতা দ্বারা।
তুলসী পাতা বিভিন্ন ভাইরাস ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এটি
একটি আয়ুর্বেদ সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যেমন মূত্রনালী সংক্রমণ
যা প্রায়শই ঘন ঘন প্রসাবের কারণ। কয়েকটি তুলসী পাতা গুঁড়ো করে তার সাথে অল্প
পরিমাণে মধু দিয়ে খেলে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবেন।
আমলা দ্বারাঃ
আমরাই রয়েছে উচ্চ ভিটামিন সি এবং এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে
থাকে। যা ঘনঘন প্রসাবের প্রয়োজন কমায়। এটি মূত্র তন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে
সুবিধা জনক। আপনার ঘনঘন প্রসাব হলে শুধু আমলা থেকে রস তৈরি করলে তা বাড়িতে
চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারে।
মুত্রাশয় প্রশিক্ষণ দ্বারাঃ
ঘন ঘন প্রসব হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ যা মুত্রাশয় পুনরায় প্রশিক্ষণ সাহায্য
করতে পারে মুত্রাশয় প্রশিক্ষণের লক্ষ্য এটি আপনার প্রসব করার প্রয়োজনীয় তাকে
কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং আপনার টয়লেট পরিদর্শনের সময়ে নির্ধারণ করতে হয়
তা শেখানো।
এই কৌশলটি যখন আপনি যাওয়ার তাকে অনুভব করেন তখন অল্প সময়ের জন্য প্রসব বন্ধ
রাখা উচিত। বিশ্রামের মধ্যে দিয়েও সময় বাড়াতে পারেন এক্ষেত্রে, কেগেল
ব্যায়ামের সাথে মুত্রাশয় প্রশিক্ষণ কে একত্রিত করারও সুপারিশ করা হয়ে থাকে।
ওষুধ পরিচালনা দ্বারাঃ পলি ফার্মেসির দ্বারা প্রসারের সমস্যা
হয়ে থাকতে পারে এবং এটি খুবই সাধারন একটি বিষয়। এর অর্থ হলো একাধিক ওষুধ
গ্রহণকারী ব্যক্তিরা মুত্রাশয় ধরে রাখা বা ঘনঘন প্রসবের মতো সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারে। যে ওষুধগুলি প্রভাবে এটির কারণ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে মূত্রবর্ধক
মাদক দ্রব্য, এন্টি ডিপ্রেসেন্টস উপশমকারী এবং এন্টি কলিনার্জিক। ডোজ পরিবর্তন
বন্ধ বা হ্রাস করে একাধিক ওষুধের ব্যবহার পরিচালনা করা অপরিহার্য।
শীতের দিনে কতবার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক
সাধারণত শীতকালে দিনের বেলা ৮ থেকে ১০ বার এবং রাতে দুই থেকে তিনবার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক। তবে এটা নির্ভর করতে পারে আপনার কতটুকু পানি পান করছেন সারাদিনের মধ্যে সেটার উপরে। যারা এক থেকে দুই লিটার পান করেন শীতের সময় তাদের প্রসবের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে কম হবে।
এবং যারা তিন থেকে চার লিটার পানি পান করেন তাদের ৮ থেকে ১০ বার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক। সাধারণত গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে প্রসবের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ আমাদের শরীরে ঘাম হয়। ঘামের মাধ্যমে অনেকটা জল বাষ্প হয়ে বেরিয়ে যায় কিন্তু শীতকালে শরীর না ঘামাতে সেই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। সেই ক্ষেত্রে ঘনঘন প্রসাব হয়ে থাকে।
যদি আপনার শরীরে কোনরকম কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে শীতকালে বেশি বেশি প্রসব হওয়ার ভয় না করে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। কেননা যাদের ঘন ঘন প্রসব হওয়ার সমস্যা রয়েছে তারা শীতকালে এই সমস্যার কারণে পানি খাওয়া কম করে দেন।
এতে করে আমাদের শরীরে পানি ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং শরীরে আরো নানা রোগের
উৎপত্তি হতে পারে। তাই অবশ্যই শীতকালেও আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
প্রয়োজন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন শীতকালে ঠিক কতবার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক
এবং শীতকালে পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির ঔষুধ
ইতোমধ্যে ঘন ঘন প্রসাদ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরে বলা হয়েছে। এবার আসুন ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির ঔষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। ঘনঘন প্রসাব হওয়ার ক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহার হতে পারে আপনার শরীরে ঠিক কোন রোগের লক্ষণ এ ঘনঘন প্রসব হচ্ছে সেটার উপরে ভিত্তি করে।
এর মধ্যে ঘনঘন প্রসাব হওয়া ডায়াবেটিসের ও একটি পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। যেহেতু মূত্রের সাথে কিডনির স্বাস্থ্য জড়িত তাই গুরুতর কোন সমস্যা হলে কালক্ষেপণ না করে কোন বিশেষজ্ঞ ইউরোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এছাড়াও Oxyspas 5mg Tablet এই ওষুধটি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যাতে অতি সক্রিয় মুদ্রাসয় আছে এবং যারা প্রসার নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম এই ধরনের রোগীদের মধ্যে বারবার এবং ঘন ঘন প্রসাব করার প্রবণতা দেখা দিয়ে থাকে এইসব রোগীরা মুত্রাশয় এবং মুত্রনালী বেশি গোলের খিচুনি থেকেও ভুগতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ জ্বরের সময় কি খাওয়া উচিত
আপনি যদি নিজেকে দিনে ৮ বারের বেশি বাথরুমে যেতে দেখেন বা আপনার মনে হয় যে আপনি
আপনার শরীরের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসাব করছেন। তাহলে একজন
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলুন তারা আপনাকে কারণ খুঁজে পেতে এবং
চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন। Over Active Bladder কী?
উত্তর। ওভার
একটিভ ব্লেডার হল উপসর্গের একটি সংগ্রহ যা আপনি কত ঘন ঘন প্রসাব করেন তার উদাহরণ
মাত্র।
প্রশ্ন। গাড়ো হলুদ প্রসাবে সবচেয়ে সাধারণ কারণ কি?
উত্তর। ডিহাইড্রেশন।
প্রশ্ন। ঘন ঘন প্রসাব
হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে?
উত্তর।
ইউরোলজিস্ট।
প্রশ্ন। কত বার প্রসাব হওয়া স্বাভাবিক?
উত্তর। ৪ থেকে ৮ বার।
প্রশ্ন। ঘন ঘন
প্রস্রাব হলে কোন ওষুধ খাওয়া উচিত?
উত্তর। Oxyspas 5mg Tablet
(বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)।
প্রশ্ন।
সারাদিনে কত লিটার পানি খাওয়া উচিত?
উত্তর। ২
লিটার বা তার বেশি।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ ঘন ঘন প্রস্রাব আপনার অতিরিক্ত পানি পান করার কারণে হতে পারে। এছাড়াও আপনার শরীরে যদি কোনো রকম কোনো রোগ থেকে থাকে সেই কারণেও হতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, মূত্রনালীর সংক্রমণ সহ ক্ষেত্রে। এই ক্ষেত্রে আপনার করণীয় হচ্ছে আপনার শরীরের রোগটিকে আগে চিহ্নিত করা।
এবং সেই অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া এছাড়াও আপনার শরীরে সমস্যা অনুযায়ী বারবার প্রসব হওয়ার সমস্যা কমাতে ঘরোয়া উপায়ও কিছু করণীয় উপরে আলোচিত করা হয়েছে। আশা করছি আপনি আমাদের উপরের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।
এবং জানতে পেরেছেন ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ এবং এখান থেকে মুক্তি
পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। সুস্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত এমন আরো পোস্ট পড়তে
আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেজে ভিজিট করুন।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url