ভিটামিন সি সিরামএর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের শরীর এবং ত্বক দুটোর জন্যই সবথেকে উপকারী ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন সি। আমাদের ত্বককে ফি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটা আমাদের ত্বকের টনকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

ভিটামিন-সি-সিরাম-এর-উপকারিতা

এছাড়াও কালো দাগ ব্রনের দাগ ম্লান করতে সাহায্য করে থাকে এটি। এটি শুধু আমাদের শরীর নয়, শরীরের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এক কথায় ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ভিটামিন সি সিরাম।

সূচিপত্রঃ ভিটামিন সি সিরাম এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা

ভিটামিন সি সিরাম কখন ব্যবহার করা উচিত

কখন লাগাবেন ভিটামিন সি সিরাম এই নিয়ে অনেকেই অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বই ভোগেন। দিনের বেলায় রোদে না বেরোনোর থাকলে আপনি ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন তবে রাতের বেলায় এই সিরাম মুখে লাগালে সবচেয়ে বেশি উপকারী হয় এতে এই প্রসাধনের কার্যকারিতা কমে না আর তোকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তবে এটি সকালে ব্যবহার করলেও কোন সমস্যা নেই। 

সকালে স্কিন কেয়ারে ভিটামিন সি সিরাম রাখতে পারবেন। এটি সকাল রাত সবসময়ই ইউজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফেসওয়াশ দিয়ে স্কিনটাকে ভালোভাবে ক্লিন করে টোনার এপ্লাই করতে হবে এরপর কিছু সময় গ্যাপ দিয়ে সিরামটি ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সি থেরাম কয়েক ফোটায় এনাফ হয় ত্বকের এপ্লাই করার জন্য। এরপর রেগুলার মশ্চারাইজার এপ্লাই করতে হবে কিন্তু দিনের বেলা অবশ্যই এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ইউজ করতে হবে। 

সব সময় প্যাকেটে ইন্দ্রাগিয়েন্টস লেভেলে দেখা যায় ভিটামিন সি বিভিন্ন নামে বা বিভিন্ন ফর্মে থাকে। ভিটামিন সি এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কন্সেন্ট্রেশন। ১০ থেকে ১৫% সবচেয়ে ভালো। এর বেশি হলে স্ক্রিনে জন্য ইরিটেশন তৈরি হতে পারে প্রোডাক্ট এপ্লাই করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে যাতে স্কিন সেটা ভালো মতো অ্যাডজাস্ট করতে পারে। 

ভিটামিন সি ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে ত্বকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে কিন্তু এটি সূর্য রশ্মি থেকে সরাসরি আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে না তাই আপনি যদি মনে করেন এসপিএফ এর পরিবর্তে ভিটামিন সি সিরাম মুখে লাগালেই কাজ হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে এলে ভিটামিন সি ত্বকে আরও বেশি সংবেদনশীল করে না। তাই সেই নিয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। ভিটামিন সি তার কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। 

এমনকি এটির অক্সিডাইজেশন হতে পারে। তখন ত্বকের কোন লাভ তো হবেই না উল্টো ত্বকের আরো বেশি ক্ষতির আশঙ্কা বাড়তে থাকে। দিনের থেকে রাত্রে বেলায় ত্বকে লাগানো টাই সব থেকে উত্তম। রাতের বেলায় ত্বকের ভিটামিন সি-সিরাম লাগানোর পরে এটি ত্বকে সব থেকে বেশি কার্যকর হয় এবং আমাদের ত্বক তাকে অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে তোলে।

ভিটামিন সি ত্বকের কি কি উপকার করে

আমাদের শরীর এবং ত্বক দুটোর জন্যই সবথেকে উপকারী ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন সি। এটি শুধু আমাদের শরীর নয়, শরীরের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শ্রীরাম মশ্চারাইজার ক্রিম আকারে ভিটামিন সি মাখলে তা অসমান ত্বকের রং ত্বকের নিষ্প্রাণ ভাব সুখ্য রেখা অমুসৃণ খসখসে ভাব ব্রণের দাগ সহ এই সকল কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

ক্ষেত্রে অবশ্যই দৈনন্দিন ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যে কোন প্রোডাক্ট যোগ করা খুবই প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে ত্বকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে কিন্তু এটি সূর্য রশ্মি থেকে সরাসরি আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে না তাই আপনি যদি মনে করেন এসপিএফ এর পরিবর্তে ভিটামিন সি সিরাম মুখে লাগালেই কাজ হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে এলে ভিটামিন সি ত্বকে আরও বেশি সংবেদনশীল করে না। 

  • রোদে ক্ষতি হওয়া ত্বক সারিয়ে তোলে
  • ত্বককে রাখে নরম এবং মসৃণ
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে
  • ত্বকের জালা ভাব দূর করতে সাহায্য করে
  • শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কাজ করে
ভিটামিন-সি-ত্বকের-কি-কি-উপকার-করে

 রোদে ক্ষতি হওয়া ত্বক সারিয়ে তোলেঃ একটানা দীর্ঘদিন রোদে থাকার ফলে আমাদের ত্বকে সানস্পট রুক্ষভাব সূক্ষ্মরেখা এবং অনেক সময় ত্বকের শুকনো আঁশ ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের এই সকল সমস্যা হতে সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে।

ত্বকের দাগ ছোপ বা কালচে ভাব দেখা দিলে কিংবা ত্বক মলিন হয়ে পড়লে ভিটামিন সি কিংবা নয়া সিনা মাইন্ড সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন সি সূর্য রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব কে সামলে নিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের লালচে ভাব ও বিবর্ণতা দূর করতেও অনেক কার্যকরী।  

ত্বককে রাখে নরম ও মসৃণঃ আমাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ এবং শুষ্ক। ফলে তার প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন আর্দ্রতা। যথেষ্ট পরিমাণে পানি খেলে সেই পানি ত্বকসহ শরীরের অন্য অঙ্গ প্রতঙ্গে সমানভাবে ভাগ হয়ে যায়। সেজন্য ত্বকে পুষ্টি সঞ্চার করতে বাইরে থেকেও আদ্রতা যোগানো জরুরী ভিটামিন সি পানি ধরে রাখতে পারে এবং অনেক বেশি শুষ্ক হওয়া থেকে বাঁচায়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যে কোন ক্রিম বা মশ্চারাইজার লাগালে আমাদের ত্বক দীর্ঘক্ষণ আর্দ্র থাকে এবং সেই সঙ্গে থাকে কোমল ও মসৃণ।  

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলেঃ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা যখন একেবারে হারিয়ে যায়। তখন আমাদের জন্য ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়ভাবে কাজ করে থাকে ভিটামিন সি। এক কথায় আমরা এটাও বলতে পারি আমাদের ত্বকের জন্য এই একটি মাত্র ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা অনেক অনেক বেশি। 

এটা আমাদের ত্বকে ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। সেক্ষেত্রে আপনি যে কোন ব্র্যান্ডেরই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মশ্চারাইজার বা ক্রিম অথবা শ্রীরাম ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মশ্চারাইজার বা ক্রিমের থেকে সিরাম সবথেকে বেশি কার্যকর হয়।

ত্বকের জ্বালা ভাব দূর করতেঃ রোজকার স্কিন কেয়ার রুটিনে অবশ্য ভিটামিন সি যোগ করা যায় কারণ এই উপাদানটি কমল এবং স্পর্শকাতর ত্বকসহ সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী একটি সিরাম। ফলে ত্বকে জ্বালা করবে কিনা ভেবে ভয় পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই ঠিকমতো ব্যবহার করলে ত্বক জ্বালা করার কোন কারণও নেই। 

বেশিরভাগ উপাদানের সঙ্গে মিশে যায় ভিটামিন সি সত্যি বলতে ভিটামিন সি কিছু প্রোডাক্ট এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে ভিটামিন ই ফেরুলিক এসিড সহ নানা উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন সি সিরাম।  

শক্তিশালী আন্টিঅক্সিডেন্ট কাজ করেঃ ভিটামিন সি সিরাম এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রান্ত উপকারিতার কথা খুবই সুবিদিত এবং ত্বক বিশেষজ্ঞরা মনে করে থাকেন যে কোন বয়সের ত্ব সুস্থ আর সুন্দর রাখতে ভিটামিন সি এর একটা বড় হাতিয়ার এটি। ভিটামিন সি এর পুষ্টিগুণ প্রশস্তর থেকে ত্বকের DNA নতুন করে তৈরি করতে পারে ফলে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে এবং অতিবেগুনি রশ্মি জনিত ত্বকের ক্ষতিও সেরে যায়। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন সি সিরাম এর উপকারিতা

আমরা সবাই জানি ভিটামিন সি সিরাম আমাদের ত্বকের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। উজ্জ্বল এবং সুন্দর ত্বকের জন্য ভিটামিন সি এর কোন তুলনা নেই। তৈলাক্ত ত্বকসহ ব্রন জাতীয় ত্বকের জন্য ভিটামিন সি সিরাম খুবই ভালোভাবে কাজ করে। এটি ব্যবহারের পরে ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। 

সিরাম ব্যবহারের ফলে বয়স জনিত পরিবর্তনগুলো কম দৃশ্যমান হয় তাছাড়া সিরাম ব্যবহারের পর ত্বকের রূপচর্চার অন্যান্য উপকরণ ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এই সিরামের উপাদান হতে পারে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যান্ডেলিক অ্যাসিড, ল্যাক্টিক অ্যাসিড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড প্রভৃতি সহ। 

 আরও পড়ুনঃ কেনো মধু খাবেন? মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা

যাদের ত্বক তৈলাক্ত ধরনের কিংবা যাদের ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ বা পিম্পল হয় তারা এমন সিরাম বেছে নিতে পারেন যা সিবাম নিঃসরণের হার কমায়। সিবাম হলো ত্বকের স্বাভাবিক নিঃসরণ তৈলাক্ত ত্বকে যে নিঃসরণের হার বেশি থাকে সিবাম নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে এক্সফোলিয়েটিং সিরাম।

ভিটামিন সি সিরাম কোনটা ভালো

আপনার ত্বক অনুযায়ী আপনার ত্বকের জন্য সিরাম হতে পারে আলাদা আলাদা। প্রতি ত্বকের সমস্যার জন্য এখানে কয়েকটি সেরা ফেস সিরাম সম্পর্কে উল্লেখিত করা হয়েছে। 

আন্টি এজিং ফেস সিরামঃ এই সিরামটি ব্যবহারে আপনার ত্বকে দেবে তারুণ্য এবং মোলায়েম। এতে রেটিনল এবং নিয়াসিনামাইডের মতো সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা বলিল রেখা সুখ্য রেখা এবং বার্ধক্য জনিত অন্যান্য লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে। শ্রীরাম গুলি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন প্রভাব যেমন সুখ্যরেখা বলি রেখা। 

হাইপারপ্যাগমেন্টেশন এবং সূর্যের দাগ গুলির উপস্থিতি হ্রাস করে। সিরাম হলো সবচেয়ে শক্তিশালী ত্বকের যত্নে পণ্য যা আপনি প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন ছাড়াই বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন। এবং এটি খুবই নিরাপদ।

অয়েল কন্ট্রোল ফেস সিরামঃ যাদের অনেক বেশি তৈলাক্ত ত্বক তাদের ত্বকের জন্য এই সিরামটি খুবই উপকারী এবং কার্যকর হবে। এটি আপনার ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে এবং তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের চমৎকারভাবে কাজ করে থাকে। এর শক্তি উপাদান নিয়াসিনামাইডের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ত্বকের নোংরা অপসারণের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। 

অ্যান্টি আ্যকনি ফেস সিরামঃ এই সিরামটি মূলত ব্রণ নিসারণের কাজে সহায়তা করে। এটি আপনার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ছিদ্র খুলে দেয় এবং ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং ব্রণের বৃদ্ধি রোধ করে। আরো উপাদান যেমন এলোভেরা চা গাছের তেল নিয়া সিনেমাইড ও গ্লাইকোলিক এসিড ব্রনের দাগ হালকা করতে ত্বকের অমৃদ্ধ দূর করতে এবং ব্রন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি রোধ করতে একসাথে কাজ করে থাকে। 

24k গোল্ড ফেসিয়াল অয়েল সিরামঃ এই সিরামটি সফল সিরাম এর মধ্যে খুবই প্রিমিয়াম একটি ফেসিয়াল অয়েল সিরাম। এই উপাদানটি সরাসরি আপনার ত্বকে প্রবেশ করে এটিকে একটি পরমজ্জ্বলতা আভা দেয় এবং ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই সিরামের মধ্যে রয়েছে চন্দন, জাফরান, অশ্বগন্ধা নির্যাস এবং ছাগলের দুধের মত আরও অন্যান্য উপাদান। 

একসাথে এই সকল উপাদান গুলি ত্বকের খারাপ লক্ষণ গুলি কমাতে দাগ এবং পিগমেন্টেশন এর সাথে লড়াই করতে এবং নিস্তেজতা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এটির বয়স প্রতি বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বকে একটি আলোকিত আভা দেয়। এই সিরামটি প্রত্যেকের তালিকা অবশ্যই থাকা উচিত।

ভিটামিন সি ক্রিমের উপকারিতা

ভিটামিন সি একটি কার্যকরী স্কিন কেয়ার রেঞ্জ হিসেবে কাজ করে, কনসেনট্রেটেড ভিটামিন সি ক্রিম ত্বককে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এবং স্কিন টন বাড়াতেও আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও এটি ত্বকে দাগ কমাতে অনেক বেশি উপকারী। 

ডার্ক সার্কেল এবং সূক্ষ্মরেখা সহ ক্লান্তির লক্ষণ গুলি কমাতে সকাল এবং সন্ধ্যায় প্রয়োগ করুন ভিটামিন সি ক্রিম। অতিরিক্ত শীতল প্রভাব এর জন্য এই ক্রিমটি ফ্রিজের সংরক্ষণও করতে পারেন। একটি সম্পূর্ণ উজ্জ্বল রুটিনের জন্য গার্নিয়ার ভিটামিন সি মাই কেলার ওয়াটার 3.5%  ব্রাইটেনিং সিরাম এবং ভিটামিন সি ডে ক্রিম সহ ব্যবহার করতে পারেন। 

 

ভিটামিন-সি-ক্রিমের-উপকারিতা

ভিটামিন সি ক্রিম ব্যবহার করার নিয়মঃ সর্ব প্রথমে আপনার মুখ একটি ভালো ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে নিবেন। তারপর একটি টোনার ব্যবহার করতে হবে। একবার আপনার ত্বক পরিষ্কার হয়ে গেলে আপনার সারা মুখে ভিটামিন সি ক্রিমটি লাগান আপনার ঘাড় এবং ডেকোলেটেজে অতিরিক্ত প্রয়োগ করুন। এরপরে আপনি মশ্চারাইজার চোখের ক্রিম এবং অবশেষে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করতে পারেন। 

এক্সফোলিয়েট ত্বকে ভিটামিন সি সবচেয়ে ভালোভাবে শোষিত হয়। এটি একটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ত্বকের যত্ন বা মেলানিন উৎপাদনকে বাধা দেয় কালো দাগ কমায়। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এটি ফ্রি সার্জিক্যাল গুলিকে নিরপেক্ষ করে ত্বকের ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি ফেস ক্রিম দ্বারা কোলাজেন বৃদ্ধির ফলে ত্বক আরো সমান ও টোনড করে।

ভিটামিন সি সিরামের অপকারিতা

সকলের ত্বক একরকম যেমন হয় না সেই ক্ষেত্রে একেক ত্বকে একেক রকমের ভিটামিন সিরাম ব্যবহার করা প্রয়োজন। ভিটামিন সি সিরাম সবার ক্ষেত্রেই সবার ত্বকেই প্রযোজ্য নাও হতে পারে। মুখে ব্রণ থাকলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার কোনোভাবেই করা যাবে না। কারণ এই উপাদান এক নেতো কমাই না উল্টো সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে এদিকে একনে নির্মূল করতে যে উপাদান গুলি ব্যবহার করা হয় তার কার্যকারী তাও কমিয়ে দেয় ভিটামিন সি। 

তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। কোন জাতীয় ত্বকের ভিটামিন সি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই ত্বকের ক্ষেত্র বিশিষ্ট অনুযায়ী একেক ত্বকের জন্য এক এক সিরাম ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সি সিরাম ব্রণ জাতীয় ত্বকের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ।

 আরও পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

লেখক এর শেষ কথাঃ ভিটামিন সি সিরাম সম্পর্কিত শেষ মন্তব্য

আমাদের ত্বকের জন্য সকল ভিটামিনের থেকে ভিটামিন সি সিরামটি খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকের জেল্লা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাইতো সাম্প্রতিক সময়ে বিউটি ওয়ার্ল্ড এর সুপার হিট এ রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সিরাম। তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেকের ত্বক অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন সি সিরাম ব্রন জাতীয় ত্বকের ক্ষেত্রে একেবারে নিষিদ্ধ। 

আশা করছি আপনি উপরের পোস্টটি পড়ে ভিটামিন সি এর উপকারিতা, কোন ত্বকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এটি ব্যবহারের সময়, এ সকল বিষয় বুঝতে পেরেছেন। রূপচর্চা বিষয়ে এমন আরো পোস্ট করতে আমাদের হোমপেজে ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url