কেনো মধু খাবেন? মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা

মধু রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এবং এর আ্যন্টি-অক্সিডেন্ট, আ্যন্টি-ইনফ্লেমেটরি, আ্যন্টি-ভাইরাল বৈশিষ্টের কারণে শীতে ঠান্ডা বা গলা ব্যথা দেখা দিলে তার চিকিৎসায় এটি দারুন ভাবে কাজ করে। প্রতিনিয়ত মধু খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

মধুর পুষ্টি নির্ভর করে ধরনের ওপর। সাধারণত এক টেবিল চামচ (২১গ্রাম) মধুতে ৬৪ ক্যালোরি ও ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকে। মধুর বেক্টেরিয়ারোধী উপাদান এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধে এর সক্ষমতার কারণে এমনটি করা হতো।    

সূচিপত্রঃ মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে মধু খেলে বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে অনেক সহয়তায় করে। সকালে মধু খেলে আমাদের শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এবং নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখে। মানুষ এখন স্বাস্থ্য সচেতন হওয়াই অনেকেই চিনির ক্ষতিকর দিক গুলো জানেন। চিনির পরিবর্তে স্বাস্থ্যকরি  মধু ব্যবহার করতে পারেন। 

এতে শরীরের কোনো রকম কোনো ক্ষতি হবে না। বিশেষ করে শীতকালে, শীতকালে খালি পেটে সকাল বেলায় ১চামচ মধু খুবই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। কারণ মধু তে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ তাছাড়াও মধু শরীর গরম রাখতেও সহায়তা করে তাই শীতকালে মধু খাওয়া টা অবশ্যই প্রয়োজন। 

শুধু আপনারাই নন বাচ্চাদের কেউ মধু খাওয়ানো যায় বাচ্চাদের জন্যও মধু ভালো কাজ করে। তবে হ্যাঁ মধু অবশ্যই খাটি হতে হবে তবেই উপকৃত হবেন আপনি। এখনকার সময়ে এসে বাজারে বিভিন্ন ভেজাল মধু বিক্রিত হচ্ছে যেইগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই মধু কিনবার আগে সেইটা যাচাই বাছাই করেই কিনবেন।

গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য মধু

গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মধুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে বলে জানা যায় যা গর্ভবতী মা এবং ক্রমবর্ধমান ভ্রন উভয়ের জন্যই উপকারী হতে পারে। মধু কাশি সর্দি ও গলা ব্যথার ক্ষেত্রে একটি সাধারণ প্রতিকার। 

গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে অনিদ্রার সমস্যা খুব প্রবল। এর সমাধান ও করতে পারে মধু। গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়া ভালো। তবে গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের থেকে জেনে নিবেন। যদি আপনার কোনো এলার্জি না থাকে আপনার চিকিৎসক কোনো নির্দিষ্ট কারণে আপনাকে খেতে নিষেধ না করে তাহলে গর্ভাবস্থায় আপনি নির্ভাবনায় মধু খেতে পারেন।

রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা

মধু রোদে পোড়া ট্যান থেকে শুরু করে নিস্তেজ ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টানটান করতে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মধুর উপকারিতা অনেক। 

  • মধু ও টকদই
  • মধু ও পেঁপে
  • মধুর স্ক্রাব
  • মধু ও কলার প্যাক

মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুন উপকারী। মধুতে আছে আনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।

মধু ও টকদইঃ ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১চা চামচ টকদই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। এছাড়াও ত্বকের ব্রন দুর করতেও এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

মধু ও পেঁপেঃ ২ টুকরো পেঁপে ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে ঘন একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এছাড়াও বয়সের ছাপ দূর করতেও এই প্যাকটি ব্যবহার করা যায়।

মধুর স্ক্রাবঃ ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে ১০ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন। এর পর ১০ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে থাকে।

মধু ও কলার প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ কলার সঙ্গে সামান্য পরিমাণে কলা নিয়ে ভালো ভাবে দুটো মিক্স করে প্যাক তৈরী করুন। এর পর প্যাকটি মুখে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।

মধু দিয়ে চা খাওয়ার উপকারিতা

মধুর গুণ সম্পর্কে নতুন করে বলার আর কিছু নেই আমরা সকলেই জানি মধু কতটা উপকারী। সকালে চায়ের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু খেলে সর্দি কাশি থেকে উপকৃত পাওয়া যায়। মধু এবং চা উভয়ই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মধুতে চিনির তুলনায় কম জিয়াই মান রয়েছে, যার অর্থ এটি রক্তে শর্করার মান দ্রুত বাড়ায় না। 

মধু চিনির চেয়ে মিষ্টি সাদযুক্তি, তাই একটু দীর্ঘপথ যায়। সুস্থ্য শরীরের ক্ষেত্রে একটি ভালো নিয়ম হতে পারে প্রতিদিন সকালে চা এ চিনির পরিবর্তে মধু মিশিয়ে পান করা। প্রতি কাপ চা এ ১ চা চামচ (প্রায় ৫ গ্রাম) মধু দিয়ে শুরু করুন। এটি আপনাকে চায়ের প্রাকৃতিক স্বাদকে অপ্রতিরোধ্য না করে একটি হালকা মিষ্টি উপভোগ করতে দেয়। আপনি যদি মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করেন তাহলে আরও মধু যোগ করতে পারেন এতে কোনো ক্ষতি নেই।

চিনির বিকল্প হিসেবে মধুর ব্যাবহার

উচ্চমাত্রায় চিনি ও ক্যালোরি থাকার পরও পরিশোধিত চিনির চেয়ে ভালো মধু। পরিশোধিত চিনিতে পুষ্টির উপাদান যেখানে শূন্যের কোঠায় সেখানে মধু ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো এন্টিঅক্সিডেন্ট এর যোগান দেই। চিনির পরিবর্তে উচ্চমানের মধু খাওয়ার ফলে হৃদপিণ্ডের নানান উপকার হয়ে থাকে। 

এছাড়াও এটি এটি হৃদরোগের বেশ কিছু ঝুঁকি কমাতে অনেক সহয়তায় করে। আয়ুর্বেদের মত প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষত নিরাময়ে ত্বকে সরাসরি মধু ব্যবহার করা হতো। মধুর বেক্টেরিয়ারোধী উপাদান এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধে এর সক্ষমতার কারণে এমনটি করা হতো।  

মধু খাওয়ার সুন্নতি নিয়ম

এইবার আসুন মধু খাওয়ার সুন্নতি কিছু নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ইসলামে সুন্নতি তরিকায় মধু খাওয়ার নিয়ম হিসেবে ঘুম থেকে উঠার পর সকাল বেলা খালি পেটে এক চামচ মধু হাতের তালুতে নিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মধুর মধ্যে রয়েছে অনেক রোগের প্রতিষেধক।

এই সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তাতে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার রয়েছে। মধুতে অনেক বেশি উপকারিতা আছে জন্যই মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে মধু খেতে বলেছেন। মধু নিয়ে কোরআনের আয়াত আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।

মুত্তাকিদের যে জান্নাতের ওয়াদা দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হলো, তাতে আছে নির্মল পানির নহর, দুধের ঝরনা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝরনা। (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৫)

মধুর ঔষধি গুণাগুণ নিয়ে আল্লাহ্‌ পাক বলেছেন, তোমার রব মৌমাছির প্রতি ইলহাম করেছেন যে পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করো। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার করো এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চলো। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে ওই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে।” (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)

আরও পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা

গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতা

এটি শরীরে জলের অভাব দূর করতে সাহায্য করে ৷ তাই আপনি হালকা গরম জল এবং মধু দিয়ে সকাল শুরু করতে পারেন। হজমশক্তি উন্নত করে: মধু পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের সকালটা মধু এবং হালকা গরম জল দিয়ে শুরু করা উচিত ৷ 

এটি বদহজম এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে। রাতে গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে হজম প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে। কারণ মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা পেটের অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। মধুর ব্যবহারে কোলনও উপকার পেতে পারে। সংমিশ্রণটি শরীরকে হাইড্রেট করতে, অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। 

গ্য়াস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। হালকা গরম জলের সঙ্গে মধু খাওয়ার সর্বোত্তম সময় কখনও কখনও ব্যক্তি ও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করতে পারে। অনেকে সকালে খালি পেটে মধু ও হালকা গরম জল পান করা বিশেষ উপকারী বলে মনে করেন। সকালে খালি পেটে পান করলে পেটের রোগ সারাতে, ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

সামগ্রিক হাইড্রেশনের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। শোওয়ার আগে যদি খাওয়া যায়, তাহলেও এর উপকারিতা রয়েছে। গলার ব্যথা উপশম করতে, ভাল ঘুমের জন্য সাহায্য করে। খাওয়ার আগে পান করলে হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

মধু খাওয়ার অপকারিতা

মধুর উপকারী গুণের পাশাপাশি কিছু অপকারী গুণও রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু খুবই বিপদজনক।কারণ এটি সরাসরি রক্তের শোষিত হয় বলে রক্তের শর্করাকে উচ্চ স্তরে নিয়ে যায়। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু গ্রহণ নিষেধ। অনেকে ওজন কমাতে মধু খায়। নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলিতে বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ তৈরি হয়ে থাকে । এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেলকে হাই করে দেয়। 

যার ফলে মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য বেশি মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে থাকে। ফলে তাড়াতাড়ি ওজন রোধ করা যায়। এছাড়াও মধুর কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও আছে। আর তাই এই সব রোগীরা মধু না খাওয়ায় ভালো। মধুতে আছে শর্করা। ক্যালোরিও আছে। মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট। যা রক্তশর্করা বাড়িয়ে দেয়। 

তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মধু ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা দরকার। আদৌ মধু শরীরের জন্য উপযুক্ত কিনা সেই বিষয়ে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মধু খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের না খাওয়ায় ভালো। তাই যদি প্রয়োজনে মধু খেতেই হয় তাহলে তা কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে মধু খেলেই চাপ পড়ে অন্ত্রের উপর। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়ে যায় যদি রোজ মধু খেলে। 

গরম পানিতে মধু খেলে হাফ চামচের বেশি নয়। তবেই কিন্তু উপকার পাওয়া যায় । অতিরিক্ত মধু চাপ ফেলে হজম ক্ষমতার উপরও। মধু দাঁতের জন্যও ভাল নয়। অতিরিক্ত মধু খেলে দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয়ে যায়। দাঁত দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দাঁত বিবর্ণও হয়ে যায়। কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো না। তাই অতিরিক্ত খেলে কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অবশ্যই দেখা দিবে। যদি বেশি পুষ্টি লাভের আশায় অধিক পরিমাণে মধু খায় তাহলে ডায়রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে। 

যারা পুষ্টিবিদরা বলেছেন বেশি পরিমাণে মধু খেলে এলার্জির পাশাপাশি হার্টবিটের সমস্যা, চোখে আবছা ভাব, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি ভাব, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো প্রয়োজন অনুসারে মধু খেতে হবে। মধুকে গরম করা হলে বা গরম পানির সাথে মিশানো হলে এর গুণাগুণ পরিবর্তীত হয়ে সেটা বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করে। যেটা খেলে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

তাই মধু গরম পানি, গরম চা বা গরম দুধের সাথে না মিশিয়ে কুসুম গরম পানি বা কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম। বাজারে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা মধুর মধ্যেও চিনি মিশিয়ে বিক্রি করে। বাড়তি চিনি ওজন বাড়া ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চমাত্রার চিনিযুক্ত খাবার স্থূলতা, প্রদাহ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, লিভার ও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

অতিমাত্রায় চিনি যুক্ত খাবার বিষন্নতাও স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে থাকে। তাই চিনি যুক্ত মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বাজারে মধু কিনার আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে সেটা আসলে খাঁটি মধু না চিনি যুক্ত মধু। মধু ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url