গুগল এনালিটিক্স ও গুগল সার্চ কনসোল কি
গুগল এনালিটিক্স হলো গুগল দ্বারা অফার করা একটি ওয়েব বিশ্লেষণ পরিষেবা। যা
ওয়েবসাইট ট্রাফিক এবং মোবাইল অ্যাপ ট্রাফিক এবং ইভেন্ট গুলিকে ট্র্যাক করে এর
রিপোর্ট করে। বর্তমানে গুগল মার্কেটিং প্লাটফর্ম ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি
প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে অধিগ্রহের পর গুগল ২০০৫ সালে নভেম্বরে পরিষেবাটি চালু
করে।
গুগলের একটি ওয়েব মাস্টার টুল হলো google সার্চ কনসোল। ওয়েবসাইটের সর্বাত্মক
অবস্থা পর্যালোচনা এবং সার্চ ইঞ্জিনের সাইট কি অবস্থায় আছে তা জানার জন্য এই
টুলের কোন বিকল্প নেই। আমরা অনেকেই সার্চ কনসোল এবং এনালিটিক্স এর মধ্যে পার্থক্য
করতে পারি না। আমাদের আজকের লেখায় আমরা গুগল সার্চ কন্সাল্ট কি এবং এটি কিভাবে
কাজ করে এবং কেন প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করব। গুগল সার্চ কনসোল এবং এর
কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত
সূচিপত্রঃ গুগল এনালিটিক্স ও গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে
- গুগল এনালিটিক্স কি
- গুগল সার্চ কনসোল কি
- কিভাবে গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যুক্ত করব
- গুগল এনালিটিক্স কি
- গুগল এনালিটিক্স কেন ব্যবহার করব
- গুগল এনালিটিক্স কিভাবে সেটআপ করব
- এনালিটিক্স ডাটা ট্র্যাকিং কি
- একটি ডেটা ট্র্যাকিং পরিকল্পনা কি
- ডাটা এনালাইসিস কি
- ডেটা বিশ্লেষক হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন
গুগল সার্চ কনসোল কি
google বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় ট্যাগ জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর একটি। শুরুর দিকে গুগল একটি সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে অনেকগুলো সার্ভিস প্রদান করে থাকে। তাদের সার্চ নির্ভর ইন্ডাস্ট্রির দ্বারা পরিচালিত সার্ভিস গুলোর মধ্যে এডসেন্স, এসইও, অ্যাড, youtube, ওয়েবসাইট ইত্যাদি সবথেকে অন্যতম।
ওয়েবসাইট তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য থাকে ভিজিটরদের কাছে কনটেন্ট পৌঁছানো। এবং google তাদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট কন্টেন্ট পুরো পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেয়। এই কাজ নির্ভুলভাবে করার জন্য সঠিক এবং কার্যকরী টুল এর প্রয়োজন হয়। গুগলে ঠিকমতো সাইট ইনডেক্স হয়েছে কিনা তা জানার জন্য গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করা হয়।
কোন পেজ ইনডেক্স না হলে বা ইনডেক্স রিলেটেড কোন সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান
করার জন্য সার্চ কনসোল প্রয়োজন। গুগল থেকে আসা সার্চ ট্রাফিক সম্পর্কে ধারণা
পেতে এই টুল প্রয়োজন। গুগলের একটি ওয়েব পরিষেবা যা ওয়েব মাস্টারদের ইনডেক্সিং,
স্ট্যাটাস, সার্চ, কোয়েরি, ত্রুলিং ত্রুটি এবং তাদের ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা
অপটিমাইজ করার অনুমতি দেয় গুগল সার্চ কনসোল।
গুগল সার্চ কনসোল এর কুয়েরি কি
গুগল সার্চ কনসুলে প্রশ্ন গুলি নির্দিষ্ট অনুসন্ধান শব্দ বা কিওয়ার্ডগুলিকে নির্দেশ করে থাকে যা ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে। এবং পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটে অবতরণ করে। লোকেরা কি অনুসন্ধান করছে এবং সেই প্রশ্নগুলোর সাথে আপনার সাইট কিভাবে পারফর্ম করছে সে সম্পর্কে তারা মূল্যবান অন্তর দৃষ্টি প্রদান করে।
Google সার্চ কনসোলে প্রশ্নগুলি নির্দিষ্ট অনুসন্ধান শব্দ বা কীওয়ার্ডগুলিকে
নির্দেশ করে যা ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে আপনার
ওয়েবসাইটে অবতরণ করে । লোকেরা কী অনুসন্ধান করছে এবং সেই প্রশ্নগুলির সাথে আপনার
সাইট কীভাবে পারফর্ম করছে সে সম্পর্কে তারা মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
কিভাবে গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট যুক্ত করব
গুগল সার্চ কনসোল টুলস এর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের অগ্রগতি হচ্ছে নাকি অবনতি হচ্ছে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোন টেকনিক্যাল সমস্যা হয় তা কিভাবে সমাধান করবেন তার সাজেশন গুগল সার্চ কনসোল থেকে দেওয়া হবে।
এটা প্রায় সকল ওয়েব মাস্টারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টুলস। গুগল
সার্চল আপনাকে যে ডাটাগুলো ফ্রিতে প্রদান করছে তা অন্য কোন টুলস এর প্রিমিয়াম বা
পেইড ভার্সনেও পাবেন না আপনি। কেননা গুগল সার্চ ইঞ্জিন তাদের নিজস্ব পরিষেবা আর
google consol তাদের। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে যে পরিমাণ করতে পারে তা
অন্য কোন টুলস এর পক্ষে সম্ভব না।
আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস এর মাধ্যমে যুক্ত করার জন্য প্রথমেই।
আপনাকে গুগলে গিয়ে google consol লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ করার পরে যে
লিঙ্কটি আসবে সেই লিংকের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। গুগল সার্চ কনসোল টুলসে প্রবেশ
করার পর আপনাকে বেশ কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে নিচে স্টেপ গুলো টিউটোরিয়াল আকারে
দেওয়া হল।
স্টেপ ১ প্রথমে গুগল সার্চ কনসোল টুলসে প্রবেশ
করুন। প্রবেশ করার পর স্টার্ট নাও তে ক্লিক করুন।
স্টেপ ২
তারপর আপনাকে এমন একটি পেজে নিয়ে আসবে।
(ছবি)
এই পেজটিতে আসার
পর আপনার ওয়েবসাইটের URL টি দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে ভেরিফাই করতে হবে। এখানে
আপনি দুইটা অপশন দেখতে পাবেন।
- Domain
- URL prefix
আপনাকে এখান থেকে URL prefix বক্সে আপনার ওয়েবসাইট এর সম্পূর্ণ লিংকটি দিতে হবে।
এরপরে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩ কন্টিনিউ করার পরে
আপনাকে এমন একটি পেজে নিয়ে আসবে।
(ছবি)
এই পেজে আসার পর
আপনাকে ওয়েব সাইটের ownership verify করতে হবে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি যে আপনার তা
প্রমাণ করতে হবে। বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটের অনারশিপ ভেরিফাই করা যায় এর মধ্যে
সবথেকে দুইটি সহজ উপায় এখানে বলা হয়েছে।
১. HTML ফাইলটি ডাউনলোড করে সি প্যানেল এ গিয়ে আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের
ডিরেক্টরি তে আপলোড করে দিন।
২. HTML tag ক্লিক করুন তারপর একটি কোড ওপেন হবে। সেই কোডটি সম্পন্ন কপি
করুন এবং আপনার ওয়েবসাইটের থিমের <head> </head> ট্যাগের মাঝখানের
যেকোনো জায়গায় সেই কোডটি বসিয়ে দিন।
এরপর গুগল সার্চ কনসোল থেকে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে তারপর
আপনার ওয়েবসাইটের Ownership Verify হয়ে যাবে এবং গুগল সার্চ কনসোলের
ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। আর যদি কোডটি যথাযথ স্থানে বসাতে না পারেন তবে Error
দেখাবে এবং Error সমাধান করার জন্য করতে যথাযথ স্থানে বসে verify ক্লিক করলেই
Ownership Verify হয়ে চলে আসবে ড্যাশবোর্ডে।
(ছবি)
গুগল
সার্চ কনসোল এর ড্যাশবোর্ড দেখতে এমন। তবে গুগল সার্চ কন্সেলে আপনার ওয়েবসাইট
যুক্ত করার পরে এখানে কোন ডাটা দেখাবে না পুরোপুরি ফাঁকা দেখাবে। কেননা নতুন
ওয়েবসাইট কনসোলে যুক্ত করার ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে ডাটা দেখানো শুরু করবে। যে
স্কিনশটগুলো আমি দিয়েছি সেগুলো আমাদের একটি নতুন ওয়েবসাইটের ডাটা আপনার
ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও ঠিক একইভাবে ডাটা দেখানো হবে।
গুগল এনালিটিক্স কি
google এনালিটিক্স হলো গুগল দ্বারা অফার করা একটি ওয়েব বিশ্লেষণ পরিষেবা। যা ওয়েবসাইট ট্রাফিক এবং মোবাইল অ্যাপ ট্রাফিক এবং ইভেন্ট গুলিকে ট্র্যাক করে এর রিপোর্ট করে। বর্তমানে গুগল মার্কেটিং প্লাটফর্ম ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে অধিগ্রহের পর গুগল ২০০৫ সালে নভেম্বরে পরিষেবাটি চালু করে।
google এনালিটিক্স একটি বিনামূল্যের ওয়েব এনালেটিকস পরিষেবা যা সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন এবং বিপণন এর জন্য ব্যবহৃত মৌলিক বিশ্লেষণমূলক সরঞ্জাম এবং
পরিসংখ্যান সরবরাহ করে। একটি ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং এর ভিজিটরদের তথ্য
গুগল অ্যানালাইটিকস ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এটি একটি ওয়েব
এনালিটিক্স পরিষেবা যা ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং বিপণন প্রচারাবিযানের অন্তর
দৃষ্টি গুলির জন্য দরকারি অসংখ্য বিশ্লেষণাত্মক সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
গুগল এনালিটিক্স কেন ব্যবহার করব
google এনালিটিক্স হলো ওয়েবসাইট মালিকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল। কারণ এটি ব্যবহারকারীরা তাদের ডিজিটাল সম্পদ এবং বিপণন প্রচারা অভিযান এর সাথে কিভাবে ইন্টার অ্যাক্ট করছে তার মূল্যবান অন্তর দৃষ্টি প্রদান করে এই তথ্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য এবং শেষ পর্যন্ত আরো বেশি বিক্রয় এবং আয় চালাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। গুগল অ্যানিলিটিক্স গ্রাহকদের যাত্রা বুঝতে এবং বিপণন ROI উন্নত করার জন্য বিনামূল্যে আপনাকে টুল দেয়।
গুগল এনালিটিক্স কিভাবে সেটআপ করব
গুগল আ্যানালীটিক্স দিয়ে কাজ করা সহজ। শুধু গুগলের মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইট দেখুন এবং শুরু করতে বোতামে ক্লিক করুন আপনাকে আপনার গুগল একাউন্টে লগইন করতে বলা হবে এরপরে আপনাকে আপনার google এনালিটিক্স অ্যাকাউন্টের নাম দিতে হবে।
এবং আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে লিখতে হবে তারপরে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে
ট্র্যাকিং কোডটি ইন্সটল করতে বলা হ... এর জন্য আপনাকে Google
Analytics>Admin>Data Stream>Add Stream বাটনে ক্লিক করে আপনার
প্রোপার্টির ধরন যেমন Web, iOS app, Android app select করতে হবে।
এরপর Google Analytics আপনার জন্য একটি ট্র্যাকিং কোড তৈরি করে দিবে যা
আপনার ওয়েবসাইটে ইন্সটল করতে হবে। সাধারণত তিন ভাবে এটা install করা যায়।
১. ওয়েবসাইটের সকল পেজের হেডার সেকশনে কোড কপি পেস্ট করতে হবে।
<head>
এখানে ট্র্যাকিং করে পেস্ট করুন।
</head>
এখন
আপনার ব্লগার থেকে Setting > Other এ ক্লিক করুন উপরের ইমেজ এর মত। সবার নিচে
একটি বক্স আছে সেখানে ট্র্যাকিং আইডি পেস্ট করুন এবং উপর থেকে সেভে ক্লিক করুন।
উপরের দেখানো সবকিছু যদি আপনি ঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট গুগল
অ্যানালিটি সঠিকভাবে এড করা হয়েছে আপনি এখন আপনার ওয়েবসাইটের সকল ইনফরমেশন
দেখতে পারবেন।
২. google ট্র্যাক ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে
গুগল ট্যাগ ব্যবহার করতে হয় সেই সম্পর্কে পরে আরো বিশদ আলোচনা করা হবে।
৩. CMS(কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) । ভিত্তিক বা অন্যান্য
ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে আপনাকে ট্রাকিং আইডি প্রবেশ করার জন্য
নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া হবে। সেখানে কপি পেস্ট করতে হবে যেমন দেশি কমার্শ দিয়ে
বানানো ওয়েব সাইটে ট্র্যাকিং আইডি প্রবেশ করতে দেওয়ার জায়গা আছে যাতে আপনি
সহজে গুগল এনালিটিক্স বা অন্যান্য পিক্সেল কোড ইন্সটল করতে পারেন।
এনালিটিক্স ডাটা ট্র্যাকিং কি
ডেটা ট্র্যাকিং হল বিশ্লেষণের জন্য ডেটা সংগ্রহ, সনাক্তকরণ এবং শ্রেণীবদ্ধ করার প্রক্রিয়া। এতে ইভেন্ট এবং মেট্রিক্স ট্র্যাক করা এবং ডেটা-চালিত ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করা জড়িত। একটি ডেটা ট্র্যাকিং পরিকল্পনা হল মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টির জন্য ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার জন্য ব্যবহৃত কাঠামো এবং কৌশলগুলি। একটি ডেটা ট্র্যাকিং পরিকল্পনা তৈরি করতে, আপনাকে আপনার ট্র্যাকিং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতিগুলি নির্ধারণ করতে হবে এবং পদক্ষেপযোগ্য অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করতে ডেটা বিশ্লেষণ করতে হবে ৷
একটি ডেটা ট্র্যাকিং পরিকল্পনা কি
একটি ডেটা ট্র্যাকিং প্ল্যান হল একটি কাঠামো এবং কৌশল যা আপনি কার্যকরী অন্তর্দৃষ্টির জন্য ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে প্রয়োগ করেন। এতে ডেটা ট্র্যাক করার জন্য সরঞ্জাম বা পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং আপনার ট্র্যাক করতে প্রয়োজনীয় ইভেন্টগুলি নির্ধারণ করা জড়িত। প্রক্রিয়া পরিকল্পনা করা ডেটা সংগ্রহ, ট্র্যাকিং এবং বাস্তবায়নের সময় আপনার দলগুলিকে একই লক্ষ্যগুলির সাথে সারিবদ্ধ করতে সহায়তা করে।
ডেটা ট্র্যাকিং আপনার ব্যবসার উন্নতি করতে এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতাকে অপ্টিমাইজ করার জন্য ট্র্যাক এবং বিশ্লেষণ করার জন্য নির্দিষ্ট মেট্রিক্স বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া বর্ণনা করে। আপনার প্রচেষ্টাকে কার্যকর করার জন্য আপনার কাছে অবশ্যই ডেটা ট্র্যাক করার জন্য একটি কৌশল থাকতে হবে।
ডাটা এনালাইসিস কি
ডাটা এনালাইসিস (Data Analysis) হল অগোছালো ডাটা (Raw Data) পরিষ্কার, পরিবর্তন এবং রূপান্তরকরণ প্রক্রিয়া। তাছাড়া কার্যকর প্রয়োজনীয় তথ্য আহরণ করে তা বিচার বিশ্লেষণ করে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করা তা হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনে বা ব্যবসায়ীক সিদ্ধান্ত গ্ৰহনের ক্ষেত্রে।
আমরা ডেটা এনালাইসিস করার পদ্ধতি হিসেবে সব থেকে বেশি পরিচিত এক্সেল প্রোগ্রামের সাথে। তবে বর্তমান সময়ে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পাইথন এবং R ডেটা এনালাইসিস করার জন্য সুপরিচিত। এমনকি অনেক বড় ডেটাসেট যা এক্সেল দিয়ে এনালাইসিস করা সম্ভব নয় তা পাইথন দিয়ে খুব সহজেই করা যায়।
ডেটা বিশ্লেষক হওয়ার জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন
ডেটা বিশ্লেষক এমন একজন ব্যক্তি যার কাজ একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ডেটা সংগ্রহ করা এবং ব্যাখ্যা করা। এখানে একজন ডেটা বিশ্লেষকের প্রতিদিনের কাজ যা উল্লেখ করা হলো : ১/ ডেটা সংগ্রহ : ডাটা বিশ্লেষকরা প্রায়শই নিজেরাই বিভিন্ন মাধ্যম হতে ডেটা সংগ্রহ করেন। ডেটা বিশ্লেষক হওয়ার জন্য, একজনের শক্তিশালী বিশ্লেষণাত্মক এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, SQL এবং Python এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটা ম্যানিপুলেশন এবং বিশ্লেষণে দক্ষতা , পরিসংখ্যান এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের জ্ঞান এবং শক্তিশালী যোগাযোগ এবং উপস্থাপনা দক্ষতা থাকতে হবে।
লেখকের শেষ কথাঃ গুগল এনালিটিক্স ও গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে শেষ কথা
2021 সালে চালু করা Google Search Console Insights হল Google Search Console-এর
একটি বিশ্লেষণমূলক বৈশিষ্ট্য। এটি Google সার্চ কনসোল এবং Google Analytics থেকে
ডেটা একত্রিত করে, ওয়েবমাস্টার এবং সামগ্রী নির্মাতাদের Google-এর পরিষেবা জুড়ে
তাদের সামগ্রীর কার্যকারিতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে। আশা করছি আপনি ওপরের
পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে গুগল এনালিটিক্স ও গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে বুঝতে
পেরেছেন। তথ্য ও যোগাযোগ সম্পরকিত এমন আরও পোস্ট পরতে আমাদের ওয়েবসাইট এ ভিজিট
করুন।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url