আর্টিকেল রাইটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য
আপনার
ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে আয় ইনকাম করার জন্য যে সকল টেকনিক অবলম্বন করতে হয়
আর্টিকেল লিখতে, সেই সকল টেকনিককে এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক বলা হয়।
আজকে
এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অ্যাডভান্স
আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক করতে পাঁচটা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
- ইন্টারেস্ট ধরে রাখা
- ম্যাজিকাল টাইটেল
- অন্যান্য পেজের লিংকিং করা
- অ্যাকশন বাটন যোগ করা
- HTML (মার্কআপ) ও CSS (প্রোগ্রামিং) ল্যাঙ্গুয়েজ
- ব্যাসিক HTML, আ্যট্রিবিউট, এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি
- এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি
- আর্টিকেল ইনডেক্স (সূচি) তৈরি করার সুবিধা ও সেটআপ
- CSS পরিচিতি প্রকারভেদসহ উদাহরণ
- লেখকের শেষ কথা
ইন্টারেস্ট ধরে রাখা
সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে আমাদের একটা জিনিস খুব গুরুতর ভাবে খেয়াল করতে হবে
আমাদের আর্টিকেল বা পোস্টটি যারা পড়বে আমরা তাদের ইন্টারেস্টটা যেন ধরে রাখতে
পারি সেই ব্যাপারটা আমাদেরকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে। ইন্টারেস্ট ধরে রাখার
জন্য আমরা যে কাজটা করতে পারি সেটা হল। আমাদের আর্টিকেলের শুরুতে একটা ম্যাজিকেল
টাইটেল যুক্ত করা।
ম্যাজিকাল টাইটেল বলতে যা বোঝায় । আপনার লেখা কোন
পোষ্টের যে মেইন টাইটেলটি যদি আপনি আকর্ষণীয় কোন লেখার লিখে টাইটেলটি যুক্ত করতে
পারেন তাহলে আপনার সেই পোস্টের মধ্যে মানুষজন বেশি ভিজিট করবে। তাহলে নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন আপনি যদি একটা এট্রাকটিভ টাইটেল যুক্ত করেন আপনার পোস্টে তাহলে
লোকজনের আকর্ষণ আপনি বেশি পাবেন।
যদি আপনার আর্টিকেলের টাইটেলটা এট্রাক্টিভ না হয় তাহলে আপনার পোষ্টের মধ্যে কি
আছে না আছে তাহলে সেগুলো কিন্তু মানুষজন দেখতে যাবে না। যদি না তার আর্টিকেলের
টাইটেলটা পছন্দ হয়। সুতরাং আপনার আর্টিকেলের ভেতরে কি আছে না আছে সেটা পরের
ব্যাপার আপনার আর্টিকেলের টাইটেলটা অবশ্যই আকর্ষণীয় হওয়া প্রয়োজন। তবে আপনার
পোস্টের এবং ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেশি আসবে।
অন্যান্য পেজের লিংকিং করা
আপনার নতুন একটা পোষ্টের মধ্যে অন্য একটা পেজের লিংক করাকে, অন্যান্য পেজের লিংকিং করা বোঝায়। এতে পাঠকরা যদি আপনি যে পোস্ট লিখেছেন সেই বিষয়ে যদি আরো জানতে চাই তাহলে সেই লিংকিং করা লিংকের মধ্যে গিয়ে পড়তে পারবে আপনার ওয়েবসাইটের আরো পোস্ট। এতে করে আপনার এক পোস্ট থেকে আরেক পোস্টে পাঠকরা গেলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এই কাজটি দ্বারা একজন পাঠকে আমাদের ওয়েবসাইটে বেশি সময় রাখতে পারব।
লিংক দেওয়ার আরেকটা কারণ হলো যখনই কেউ সেই লিংকে ক্লিক করবে তার মধ্যে একটি
বিজ্ঞাপন চলে আসবে। আর সে বিজ্ঞাপনের মধ্যে যদি কেউ প্রবেশ করে তাহলে আপনার ইনকাম
বেশি আসবে। আর যদি সে বিজ্ঞাপনে না ঢুকে বের হয়ে তার কাঙ্খিত পোস্টটি পড়ে তাহলে
শুধুমাত্র আপনি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম পাবেন। তবে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের
বিজ্ঞাপন আপনি নিজে কখনো দেখবেন না এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে সমস্যা হতে পারে।
একশন বাটন যোগ করা
আমরা যখন আমাদের পোষ্টের মধ্যে ছোটখাটো লিংক যোগ করি এগুলো অনেক সময় মানুষের নজর এড়িয়ে যায় কিন্তু আমরা যখন অ্যাকশন বাটন তৈরি করি তখন মানুষ সহজেই সেটি দেখতে পায় বা বুঝতে পারে। আপনি আপনার পুরো পোষ্টের মধ্যে বিভিন্ন অ্যাকশান বাটন যোগ করতে পারেন।
আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে যে অ্যাকশন বাটনটি থাকে সেটি আপনার ইনকামের সম্ভাবনা আরও
বেশি বাড়িয়ে দেয়। অ্যাকশন বাটন এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পোষ্টের লিংকিং করা
যায়। তবে একশন বাটনটি আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে এটি সবার নজরে পড়ে এবং খুব সহজে
মানুষ সেই অ্যাকশন বাটনে লিংক এর মধ্যে ঢুকতে পারে।
HTML (মার্কআপ) ও CSS (প্রোগ্রামিং) ল্যাঙ্গুয়েজ
HTML এর পূর্ণরূপ হল (Hyper text markup language)। আর CSS এর পূর্ণরূপ হলো (Cascading Style Sheet)। এইচ টি এম এল ও সি এস এস প্রোগ্রামিং হল একটি কম্পিউটারের ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম। এই সমস্ত কিছু দ্বারা আমরা কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতে পারি নির্ধারিত কাজের জন্য। যেমন আমাদের মানুষদের কথা বলার জন্য একটা নির্দিষ্ট ভাষা থাকে তেমন কম্পিউটারের ও কাজ করানোর জন্য তাদেরও একটা নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা ভাষা ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে।
এইচটিএমএল এবং সিএসএস হল স্ক্রিপটিং ভাষা যা একটি ওয়েব পৃষ্ঠা এবং ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এইচটিএমএল ওয়েব পৃষ্ঠার কাঠামো প্রদান করে যেখানে সিএসএস প্রধানত ওয়েব পেজ স্টাইলিং নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এইচ টি এম এল এবং সিএসএস এর মধ্যে পার্থক্য হল খুব সহজভাবে এইচটিএমএল হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ পৃষ্ঠার প্রকৃত বিষয়বস্তু তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় যেমন লিখিত পাঠ্য।
এবং সিএসএস স্টাইলিং নকশা বা শৈলীর জন্য দায়ী লেআউট ভিসুয়াল ইফেক্ট এবং পটভূমির রং। সিএসএস আপনার ওয়েব পৃষ্ঠাগুলির জন্য শৈলী সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে ডিজাইন লেআউট এবং বিভিন্ন ডিভাইস ও স্ক্রিন আকারের প্রদর্শনের বৈচিত্র রয়েছে। অভ্যন্তরীণ CSS একটি <style> উপাদানের ভিতরে বসানো হয়। যা HTML নথির <head> এর ভিতরে যায়। এক্সটার্নাল সিএসএস একটি আলাদা ফাইল এ বিদ্যমান থাকে যাকে বলা হয় এক্সটার্নাল স্টাইল শিট। এইচ টি এম এল এবং সিএসএস দেখতে কিছুটা এইরকম।
এবং একটি এইচ টি এম এল ফাইল এর হেড সেকশন এর ভিতরে একটি <link> উপাদান রাখা
প্রয়োজন। স্টাইল শিট তিন প্রকারে আসে বাহ্যিক আভ্যন্তরীণ এবং ইনলাইন। বহিরাগতদের
নিজস্ব ফাইল আছে এবং সেগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন প্রতিটি ওয়েব পৃষ্ঠায়
প্রয়োগ করা হয় অভ্যন্তরীণ গুলো পুরনোথিতে প্রযোজ্য তবে আপনাকে সেগুলিকে
শিরোনামে পৃষ্ঠার শীর্ষে রাখতে হবে।
ব্যাসিক HTML, আ্যট্রিবিউট, এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি
এইচটিএমএল এর কোডিং এর মধ্যে যদি কোন স্পেস দেওয়া হয় তাহলে সেই করে স্পেস কাজ করে না। স্পেস দেওয়ার জন্য html এর কোড থেকে এইচটিএমএল ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করতে হবে। আপনার প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে স্পেস দিয়ে ফাঁকা করার জন্য আপনাকে <br> এই ট্যাগটা ব্যবহার করতে হবে। <br> একটা দেওয়ার পরে আপনার প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে স্পেস আসবে বা এক পারা ২ পারা এমন হবে। তবে এটা না দেওয়াই ভালো।
এর পরিবর্তে নতুন করে <p> ট্যাগের মধ্যে দিতে হবে।প্যারাগ্রাফ বা পোস্ট শুরু হয় <p> দিয়ে আর শেষ হয় </p> দিয়ে। পোস্ট লিখার ক্ষেত্রে আপনার সব সময় কম্পোজ ভিউ থেকে অনেক সময় কাজ হয় না সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে এইচটিএমএল এর ভিউ থেকেও কাজ করতে হয়। আর এখান থেকে কাজ করতে গেলে ছোট্ট একটা কোডও অনেক প্রয়োজনীয় তাই অবশ্যই এখানে কাজ করার আগে সেই কোডগুলো সম্পর্কে জানতে হবে উদাহরণস্বরূপ। <button>, class, id, <p>, <div>, <ul>, herf= ইত্যাদি।
আমরা যখন কোন পোস্ট লিখি পোষ্টের ওপরে শিরোনাম লিখার জন্য আমাদেরকে পোস্টে
এইচটিএমএল এ গিয়ে এডিট করতে হয়। একটি পোস্ট লেখার জন্য পোষ্টের মধ্যে লাগে
হেডিং, সূচিপত্র, লিংকিং, আরো পড়ুন সেকশন সহ আরও অনেক কিছু। আপনার লিখিত পোষ্টের
মধ্যে কোন কথাকে হেডিং করার জন্য আপনাকে পোস্ট এর ভেতরে এইচটিএমএলএ এসে ওই লেখার
আগে <body> ভেতরে প্রথমে <h2> এবং শেষে <h2> বসাতে হবে।
এট্রিবিউটঃ এইচ টি এম এল ডকুমেন্ট এ <a>, <area>,
<base link> এই সকল ট্যাগের URL নির্দেশ করতে অর্থাৎ এইচটিএমএল ডকুমেন্ট এর
সাথে এগুলো যুক্ত করতে herf এট্রিবিউটর ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ
<a herf="https ://www.yourit.com">This is a Link.</a>
এমন ভাবে এট্রিবিউটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমনঃ
সকল এইচডিএমএল এলিমেন্টর অ্যাড্রিবিউট রয়েছে। এট্রিবিউটের নাম এবং মান বা value
এই দুইটি অংশ নিয়ে একটি এইচ টি এম এর তৈরি হয় নাম এলিমেন্টের প্রপার্টি
নির্ধারণ করে এবং মান বা value সেই প্রপার্টির মান নির্ধারণ করে।
এইচ টি এম এল সর্বদা শুরু হয় তার ট্যাগে উল্লেখ করা
একটি এইচ টি এম এল
ট্যাগ এক বা একাধিক অ্যাট্রিবিউট ধারণ করতে পারে
ডাবল (" ") বা সিঙ্গেল ('
') কোটেশন চিহ্ন ব্যবহার করে লেখা।
এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি
HTML এর যেকোনো শুরুর ট্যাগ ও শেষ ট্যাগ এবং ভেতরের অংশকে এলিমেন্ট বলা হয়।
যেমন-
- <tagname> content </tagname>
- <শুরু ট্যাঁগ> এলিমেন্ট কনটেন্ট</শেষ ট্যাগ>
- <hl> Kobir Publications Ltd</hl>
- <p> Math Book</p>
- এলিমেন্টস এ তিনটি অংশ বিদ্যমান
- <p> : প্যারাগ্রাফ শুরুর ট্যাগ
- Element Content : প্যারাগ্রাফ
- </p> : প্যারাগ্রাফ শেষের ট্যাগ ।
- আবার কিছু কিছু ট্যাগে কোনো এলিমেন্ট থাকে না
- যেমনঃ <img> বা </img>, <br> বা </br> ইত্যাদি।
আর্টিকেল SEO বা ফ্রেন্ডলি করার বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে এগুলো অনুসরণ করতে হয়।
আর্টিকেল SEO বা ফ্রেন্ডলি করার নিয়ম গুলো যে দেওয়া হলঃ
১। কিওয়ার্ড রিসার্চ করাঃ কীওয়ার্ড রিসার্চ হল একটি অনুশীলন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO) পেশাদাররা সার্চ টার্মগুলি খুঁজে এবং বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করে যা ব্যবহারকারীরা পণ্য, পরিষেবা বা সাধারণ তথ্য খোঁজার সময় সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করে। কীওয়ার্ড সার্চ কোয়েরির সাথে সম্পর্কিত। কিওয়ার্ড রিসার্চ করা একটি আর্টিকেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন। সেই
আর্টিকেল কিওয়ার্ডের রিসার্চ এর মাধ্যমে জানা যায় কোন কিওয়ার্ডের ভলিউম কত ,
কম্পিটিশন কত , তার সার্চ ভলিউম কত ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্য রিসার্চ
এর মাধ্যমে কিভাবে আর্টিকেল লিখলে সে আর্টিকেল সহজে গুগলে রান করানো সম্ভব হয়
।
২। টাইটেল অপটিমাইজেশন করাঃ আপনি আপনার
ওয়েবসাইটের অন্য যেকোনো ধরণের অপটিমাইজ করেন বা না করেন, টাইটেল অপটিমাইজ করতে
যেন ভুল না হয়। কারণ কন্টেন্ট বা আর্টিকেলকে র্যাংকিং এ সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে
যেতে হলে মূল কিওয়ার্ডকে সবসময় কন্টেন্টের হেডিং এ রাখা একান্ত
অপরিহার্য।
একটি আর্টিকেল লিখতে হলে সে আর্টিকেলে টাইটেল লিখতে হয়। আপনি কোন বিষয়ে
আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে রিলেটেড একটি টাইটেল নির্ধারণ করতে হয়। আপনার
টাইটেল যেন ৬০ থেকে ৭০ ক্যারেক্টারের মধ্যে হয়। আর টাইটেল এর মধ্যে ফোকাস
কীওয়ার্ড রাখতে হয় ।
৩। কিওয়ার্ড ডেনসিটি ঠিক রাখাঃ কিওয়ার্ড ডেনসিটি একটি কিওয়ার্ড
কোন কন্টেন্ট এর মধ্যে যে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে সেটার সাথে মূল কন্টেন্ট এর
শতকারা হিসাব কে বলা হয়। অর্থাৎ এটিকে ওই পেজের মোট শব্দ সংখ্যার শতকরা (%) হিসাব
করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য হল পুরো কন্টেন্টে কিওয়ার্ডটি যে কতবার এসেছে তার
পারসেন্ট বের করা। একটি আর্টিকেলকে রান করাতে হলে তার কিওয়ার্ড ডেনসিটি ঠিক
রাখতে হবে । আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড আর্টিকেলের মধ্যে কতবার আসছে তার সঠিক ব্যবহার
নিশ্চিত করা। একটি আর্টিকেল ফোকাস কিওয়ার্ডএর ৩% বেশি রাখা যাবে না ।আপনি যে
কিওয়ার্ডটি দিয়ে গুগলে ওয়েবসাইট রান করাতে চাচ্ছেন সেটি হচ্ছে মূলত ফোকাস
কিওয়ার্ড।
৪। ইন্টার্নাল লিংক ব্যবহার করাঃ ইন্টার্নাল
লিংক এর বাংলা হল অভ্যন্তরীণ লিংক। আর SEO এর ভাষায় ইন্টারনাল লিংক হল সেই
হাইপারলিংক যেগুলি একটি ডোমেনের একটি পৃষ্ঠা থেকে একই ডোমেনের একটি ভিন্ন
পৃষ্ঠায় যায়৷ অর্থাৎ এই মাধ্যমে আপনি আপনার একটি কন্টেন্ট থেকে অন্য একটি
কন্টেন্ট বা পেজে লিংক দিবেন।
ইন্টারনাল লিংক করার মূল উদ্দেশ্য হলো এর মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পেজগুমানুষে একসাথে কানেক্ট করা। এবং বট ও ভিজিটর যেন অন্যান্য আর্টিকেল গুলো খুঁজে পায় তা নিশ্চিত করা।আর্টিকেলের মধ্যে ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করতে হয়। ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লক সাইটের এক আর্টিকেলের লিংক অন্য আর্টিকেলের মধ্যে লিংক আকারে বসিয়ে দেওয়া।
যাতে এক আর্টিকেল থেকে ভিজিটর আরেক আর্টিকেলের সহজে যেতে পারে। তাতে আপনার সাইটের
ব্রাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে না। বেশি হলে ওয়েবসাইট রান করানো সম্ভব হয় না।
৫। আউট বাউন্ড লিংক ব্যবহার করাঃ
আউটবাউন্ড লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইট থেকে বাহ্যিক ওয়েবসাইটের লিঙ্কগুলিকে আউটবাউন্ড
লিঙ্ক বলা হয়। এগুলি বহিরাগত লিঙ্ক হিসাবে পরিচিত। এটি অন্য ওয়েবসাইট বা
ওয়েবপেজে ট্রাফিক পাঠায়। আমরা একটি রেফারেন্স, তথ্য, বা অধ্যয়ন প্রদান করার
জন্য এই ধরনের বাহ্যিক বা আউটবাউন্ড লিঙ্ক যোগ করতে পারি।
আর্টিকেলের মধ্যে আউট বাউন্ড লিংক ব্যবহার করতে হবে। আউট বাউন্ড লিংক হতে আপনার
আর্টিকেল রিলেটেড বাহিরের অন্য কোন আর্টিকেলের লিংক আপনার আর্টিকেলের মধ্যে
বসিয়ে দেওয়া। তাতে আপনার আর্টিকেলের সাথে অন্য আর্টিকেলের জুস পাস হবে। অর্থাৎ
অন্য আর্টিকেল থেকে আপনার আর্টিকেলে ভিজিটর আসার সম্ভাবনা থাকবে। তাই
আউট-ব্রাউন্ড লিংক সেটাপ করা প্রয়োজন রয়েছে।
৬। ম্যাটা ডিস্ক্রিপশন ব্যবহার করাঃ
আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই ম্যাটা ডিস্ক্রিপশন ব্যবহার করা প্রয়োজন। মেটা
ডেসক্রিপশন হলো মূলত একটা এইচটিএমএল ট্যাগ, যেটা দিয়ে একটা ওয়েবপেজ এর
কন্টেন্ট মূলত কি নিয়ে লেখা সেটা বোঝা যায়। সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টে
টাইটেল এবং URL এর নিচে যে ছোট ডেসক্রিপশন থাকে, সেটাই হলো মেটা
ডেসক্রিপশন।
মেটা ডেসক্রিপশন সব সময় ১৪০-১৬০ ক্যারেক্টার এর ভেতর রাখা লাগবে। ম্যাটা ডিস্ক্রিপশন হচ্ছে আপনার আর্টিকেলের সংক্ষিপ্ত সারাংশ তুলে ধরে। যাতে ম্যাটা ডিস্ক্রিপশন পরে আপনার আর্টিকেল কি সম্পর্কে বা তার বিষয়বস্তু কি ধরনের তা বোঝা যায় সহজেই।
তাই ম্যাটা ডিসক্রিপশন ব্যবহার করলে ভিজিটর সহজে বুঝতে পারবে এবং আপনার আর্টিকেল
সম্পর্কে ধারণা পাবে। তাতে সহজে ডিজিটালরা আর্টিকেল পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
৭। টেক্সট লেনথঃ
আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই টেক্সট লেনথের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে । কারণ আপনার
আর্টিকেলটি যেন থিম কনটেন্ট না হয় । কারণ থিন কন্টেন্ট গুগলের কাছে গ্রহণযোগ্য
নয়। থিন কনটেন্ট হচ্ছে গুগলের ভাষা অনুযায়ী আর্টিকেলে শব্দ কমপক্ষে ৩০০ শব্দের
ওপর হতে হবে। তাহলে সে আর্টিকেল থিন কন্টেন হবে না ।
একটি আর্টিকেলের
শব্দ কমপক্ষে ৫০০ শব্দের হলে আর্টিকেলটি ফুটে তোলা সম্ভব হয় । একটি আর্টিকেলের
টেক্সট লেনথ ঠিক রাখতে হলে আর্টিকেলের শব্দ ১০০০শব্দের উপরে হওয়া উচিত । তাই
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর্টিকেলের শব্দ যেন ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের হয় তাহলে
আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সঠিকভাবে ফোটে উঠানো সম্ভব
আর্টিকেল ইনডেক্স (সূচি) তৈরি করার সুবিধা ও সেটআপ
একটি ব্লগার একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে সাধারণত লেখা প্রকাশ করেন এবং পরিচালনা করেন। আর্টিকেল ইনডেক্স হলো একটি পাতা বা সেটি সামগ্রিকভাবে ব্লগে প্রকাশিত সকল আর্টিকেলের তালিকা বা সূচি। এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, যেমন পাঠকদের সহজে নিজেদের ইচ্ছিত আর্টিকেল খুঁজে পাওয়া, একটি ব্লগে যোগাযোগ করা সহজ করা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরের সাথে লিঙ্ক করা ইত্যাদি।
আর্টিকেল প্রকাশ করার পরে বা তা থেকে আগে ব্লগার ইনডেক্স করতে পারেন। সাধারণত ব্লগার একটি নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করার পরে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করে যেতে পারে। ইনডেক্স করার জন্য ব্লগার আর্টিকেলের মূল তথ্য, শিরোনাম, লেখক, তারিখ ইত্যাদি সংগ্রহ করে এবং সেগুল। একটি ব্লগার একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে সাধারণত লেখা প্রকাশ করেন এবং পরিচালনা করেন।
আর্টিকেল ইনডেক্স হলো একটি পাতা বা সেটি সামগ্রিকভাবে ব্লগে প্রকাশিত সকল আর্টিকেলের তালিকা বা সূচি। এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, যেমন পাঠকদের সহজে নিজেদের ইচ্ছিত আর্টিকেল খুঁজে পাওয়া, একটি ব্লগে যোগাযোগ করা সহজ করা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরের সাথে লিঙ্ক করা ইত্যাদি
CSS পরিচিতি প্রকারভেদসহ উদাহরণ
এইচ টি এমএল ফাইলকে আমরা সাধারণত ৩ ভাবে সিএসএস দিয়ে ডিজাইন করতে পারি
- ইনলাইন সিএসএস (Inline CSS)
- ইন্টারনাল সিএসএস (Internal CSS)
- এক্সটার্নাল সিএসএস (External CSS)
ইনলাইন সিএসএসঃ ইনলাইন CSS হল একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্টে ইনসার্ট স্টাইল শীট দিয়ে একক উপাদানকে সংজ্ঞায়িত করার কৌশল। আমরা তিনটি পদ্ধতিতে CSS যোগ করতে পারি ইনলাইন, ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল। এটি একটি একক HTML উপাদান তৈরি করার জন্য ইন্টারেক্টিভ এবং অনন্য শৈলী আছে; আমরা স্টাইল অ্যাট্রিবিউটে ইনলাইন সিএসএস সংজ্ঞায়িত করতে পারি।
ইন্টারনাল সিএসএসঃ CSS বা ক্যাসকেডিং স্টাইল শীট, ব্রাউজার ডিফল্ট, ব্যবহারকারীর পছন্দ বা ওয়েব ডিজাইনার থেকে শৈলী সহ ওয়েব সামগ্রীকে স্টাইল করার একটি নমনীয় উপায় অফার করে। এই শৈলীগুলি ইনলাইনে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
একটি HTML নথির মধ্যে, বা বিস্তৃত সামঞ্জস্যের জন্য বহিরাগত সিএসএস ফাইলগুলির মাধ্যমে। অভ্যন্তরীণ CSS হল CSS এর একটি ফর্ম যা ব্যবহার করে আপনি HTML নথিতে CSS যোগ করতে পারেন। এটি একটি একক HTML ওয়েব পৃষ্ঠার বিন্যাস ডিজাইন করতে এবং HTML কোডের মধ্যে একটি ওয়েব পৃষ্ঠার শৈলী পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।
এক্সটার্নাল সিএসএসঃ এক্সটার্নাল CSS হল CSS এর একটি ফর্ম যা এক সময়ে একাধিক HTML পেজে স্টাইলিং যোগ করতে ব্যবহৃত হয় । এটি একই সাথে অনেক HTML ওয়েব পেজের লেআউট ডিজাইন করতে সাহায্য করে। বাহ্যিক CSS সর্বদা এর সাথে সংরক্ষিত হয়।এক্সটার্নাল CSS হল CSS এর একটি ফর্ম যা এক সময়ে একাধিক HTML পেজে স্টাইলিং যোগ করতে ব্যবহৃত হয়।
এটি একই সাথে অনেক HTML ওয়েব পেজের লেআউট ডিজাইন করতে সাহায্য করে। বাহ্যিক CSS সর্বদা এর সাথে সংরক্ষিত হয়। সিএসএস এক্সটেনশন এবং এই ফাইলটির মাধ্যমে আমরা আমাদের HTML ওয়েব পেজের সম্পূর্ণ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারি।
এক্সটেনশন এবং এই ফাইলটির মাধ্যমে আমরা আমাদের HTML ওয়েব পেজের সম্পূর্ণ স্টাইল পরিবর্তন করতে পারি। প্রতিটি HTML পৃষ্ঠায় অবশ্যই হেড সেকশনের ভিতরে, <link> উপাদানের ভিতরে বাহ্যিক স্টাইল শীট ফাইলের একটি রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
আর্টিকেল রাইটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর
জন্য ওপরে উল্লেখিত করা হয়েছে। ইন্টারেস্ট ধরে রাখা,
ম্যাজিকাল টাইটেল, অন্যান্য পেজের লিংকিং করা, অ্যাকশন বাটন যোগ করা, HTML
(মার্কআপ) ও CSS (প্রোগ্রামিং) ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্যাসিক HTML, আ্যট্রিবিউট,
এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি, এলিমেন্ট ও SEO ট্যাগ পরিচিতি, আর্টিকেল
ইনডেক্স (সূচি) তৈরি করার সুবিধা ও সেটআপ, CSS পরিচিতি প্রকারভেদসহ উদাহরণ
সম্পর্কে সমস্থ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আসা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ার
মাধ্যমে এই বিসয়ে বুঝতে পেরেছেন।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url