ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

 

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আজকের এই পোস্টে আমরা ড্রাগন ফলের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

ড্রাগন আমাদের দেশের ফল না হলেও দিন দিন বাংলাদেশে এই ফলটির উৎপত্তি বেড়ে যাচ্ছে। ড্রাগন ফল যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি এর খোসাও আমাদের  রূপচর্চার জন্য উপকারী।

সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের খোসার গুনাগুন

 ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

আমরা অনেকেই ড্রাগন ফল খেয়ে এর খোসা ফেলে দেই। কিন্তু এইটা একদমি ফেলবেন না। কারণ ড্রাগন ফলের পাশাপাশি এর খোসা অনেক উপকারী এবং কাজে আসে। ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় এবং চুল পড়া বন্ধ করা যায়। এই ফলের খোসাই রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টিগুণ

ড্রাগন ফলের খোসা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি 6, থায়ামিন, গ্লুটামিন। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ বলাই দুর করতে সাহায্য করে, ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তি যোগায়।

ত্বককে সুন্দর করতে সহায়তা করে

ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই চাই নিজেদের ত্বককে লাবণ্যময় এবং সুন্দর দেখাতে। ত্বক এর মধ্যে ব্রন এর দাগ চোখের নিচে কালচে দাগ থাকলে ভালো লাগে না দেখতে ত্বক টাকে। ড্রাগন ফলের খোসায় অন্যান্য সব ভিটামিনের থেকে ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আর ভিটামিন সি ত্বক থেকে কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্য তে ভুগেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ড্রাগন ফলের খোসা কাজে দিবে। আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করেন তাহলে খুব দ্রুতই আপনি এই সমস্যার সমাধান পাবেন। কারণ ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত জুস পান করতে হবে তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি ফলাফল পাবেন।

আরও পরুনঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

চুলের যত্নে ড্রাগন ফলের খোসা

এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুল পড়া আমাদের নিত্য দিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুল দিন দিন পাতলা হয়ে যাচ্ছে এবং চুল পড়ে যাচ্ছে। আমরা যদি বাড়িতেই অর্গানিক ভাবে আমাদের চুলের যত্ন নিতে পারি তাহলে বিষয় টা অবশ্যই ভালো হবে। চুলের যত্ন অনেক ভাবে নিতে পারেন তবে তার মধ্যে ড্রাগন ফলের খোসার পেস্ট তৈরি করে আপনি ব্যবহার করলে সব থেকে ভালো ফলাফল পাবেন।

পেস্টটি তৈরী করতে যা যা প্রয়োজনঃ

  • ড্রাগন ফলের খোসা
  • পেঁয়াজের খোসার
  • ২-৩ টা লন
  • দুইটা তেজপাত


এই সমস্ত উপকরণগুলো একটি পাত্রে নিয়ে তাকে লো হিট এ ৩০ মিনিট এর মত ভালো মতো সিদ্ধ করতে হবে। পানি যখন কালার চেঞ্জ হয়ে আসবে তখন পানিটি ঠান্ডা করে একটি পাত্রে ঢেলে রাত্রে ঘুমোতে যাবার আগে মাথায় ম্যাসেজ করে ঘুমাতে হবে। এবং সকালে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সুবিধার্থে স্প্রে বোতল এও ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল এর জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যাবহার করা যেতে পারে।

হার্টকে সুস্থ রাখতে ড্রাগন ফল এর ব্যবহার

আমাদের শরীরের সবথেকে গুরত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো হার্ট। আমাদের শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বর্জ্য পদার্থতে রূপান্তরিত করে তাই আমাদের হার্ট এর যত্ন নিয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আর হার্ট এর যত্ন নিতে আমরা ড্রাগন ফলের খোসার জুস পান করতে পারি এতে আমাদের হার্ট সুস্থ্য থাকবে এবং কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ এই ফলের খোসায় রয়েছে পটাশিয়াম যা হার্টকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে।

লেখকের শেষ কথা

আজকে আমরা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এটি দিয়ে রূপচর্চা করা থেকে  আমাদের শরীরের কিছু রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সম্পর্কে জানলাম। এতদিন না জেনে আমরা ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দিয়েছি এবার থেকে আমরা এইটাকে অবশ্যই কাজে লাগাবো। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url