হটাৎ জ্বর আসলে করণীও
জ্বর হল শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম একটি লক্ষন। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার
থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলেই মূলত জ্বর আসে আমাদের শরীরে। কখনও বা
আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্যও জ্বর হয় অথবা বৃষ্টিতে ভিজাসহ আরও অন্যান্য কারণেও
জ্বর হয়ে থাকে।
- গোসল করা ও গা মুছা
- জলপট্টির ব্যাবহার
- জ্বরের সময় খাবার
- পানি পান করা
গোসল করা ও গা মুছা
আমারা অনেকেই আছি জ্বর আসলে আমরা গোসল করিনা জ্বর বেশি বারার ভয় এ। তবে এটি একটি
সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। জ্বর আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আমাদের শরীর আগের
তুলনাই কিছুটা ভালো হয়।
তবে জ্বরের সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কখনই গোসল করা যাবেনা। এতে আমাদের
ত্বকের রক্তজালিকা সংংকুচিত হয়ে কাঁপুনি শুরু হয়ে যেতে পারে শরীরে। আবার অতিরিক্ত
গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে তাই জ্বরের সময় গোসলের
জন্য কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করাটাই উত্তম।
জলপট্টির ব্যাবহার
জ্বরের সময় মাথাই জলপট্টি দেওয়া জেতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে
ভিজিয়ে সেটি থেকে পানি ঝরিয়ে কপালে দিয়ে রাখলে জ্বরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও
কমানো সম্ভম।
জ্বরের সময় খাবার
জ্বর এর সময় আমাদের শরীর একদমই দুর্বল হয়ে যায়। এই সময় অবশ্যই আমাদের তরল
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে এই সময় কখনোই বেশি খাবার একসাথে খাওয়া উচিত
নয়। কারণ বেশি খাবার একসাথে খেলে বদহজম হতে পারে।
পানি পান করা
জ্বরের সময় আমাদের শরীরের তাপমাত্রার জন্য পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও বমি হলেও পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপ এবং প্রসাব ও
কমে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত এই সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা।
সতর্কনীওঃ জ্বর তিন দিনের বেশি থাকলে বা শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন কিংবা
খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত বমি এমন কোনো কিছু দেখা দিলে অবশ্যই সাথে সাথে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url