ডিজিটাল মার্কেটিং

 আপনি যদি কোনো কিছু বিক্রি করতে চান বা আপনি আপনার নিজস্ব ব্যবসা বা ব্র্যান্ড তৈরী করতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কম সময়ে এটি সম্ভব করে। এক কথায় আমরা ঘরে বসে অনলাইনে যে মার্কেটিং টা করব সেইটাই ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আমাদের সর্বপ্রথম যেইটা প্রয়োজন সেইটা হচ্ছে ওয়েবসাইট। একটা ওয়েবসাইট এর মধ্যে থাকে অনেক ধরনের ক্যাটাগরি। যেমন এক্সাক্ট নিশ, রানডম নিশ, অথরিটি সাইট, ব্র্যান্ড সাইট।

 এইবার আসি নিশ কাকে বলে>

একটা ওয়েবসাইট এর মধ্যে লেখালেখির টপিক ই হলো নিশ।  

এক্সাক্ট নিশ বলতে আমরা বুঝি যে ওয়েবসাইট এ শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিস করা হয় সেইটাই এক্সাকট নিশ। আর রানডম নিশ এ আমারা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবো। এরপরে আসি অথরিটি সাইট এ। অথরিটি ওয়েবসাইট বলতে যেকোনো বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট কে বুঝে থাকি। অথরিটি ওয়েবসাইট এর বেশিরভাগ ভিউ হয় রেফারেল এর মাধ্যমে। এরপরে আসি ব্র্যান্ড সাইট এ। এক কথায় আমরা বলতে পারি কোনো ওয়েবসাইট কে ব্র্যান্ড বা ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ দিয়াই হলো ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সারা বিশ্বের মধ্যে কারোর সাথে কারোর ওয়েবসাইট মিল যায় না। একটা ওয়েবসাইট তৈরী করতে গেলে আমাদেরকে অনেক কিছু মাথায় রেখে ওয়েবসাইট টি তৈরী করতে হবে। যেমন ডোমেইন এবং হোস্টিং এর বিষয় টা। ডোমেইন হলো সাধারণত যেকোনো ওয়েবসাইট এর নাম বুঝে থাকি আমরা। আর হোস্টিং হচ্ছে ওয়েবসাইট এর সকল কনটেন্ট রাখার জায়গা। ডোমেইন এর মধ্যে টপ লেভেল এর ডোমেইন হলো .com ডোমেইন। ডোমেইন এর কোস্ট এর থেকে হোস্টিং এর কোস্ট বেশি। ডোমেইন হোস্টিং বাদেও ওয়েবসাইট এর মধ্যে দরকারি আরো দুটো জিনিস হলো ব্যান্ডউইথ এবং ফাইল সার্ভার। ব্রান্ডউইথ হলো ওয়েবসাইট এ ব্যবহৃত ইন্টারনেট বা মেগাবাইট কে আমরা ব্র্যান্ডউইথ বলে থাকি। আর ফাইল সার্ভার হচ্ছে যেখানে আমরা আমাদের সমস্ত ফাইলগুলোকে রাখতে পারি। অডিও ভিডিও থেকে শুরু করে সব কিছুই রাখা যায় ফাইল সার্ভার এ। 


Chapter 3> যেকোনো কোর্স ভিডিও দেখা ও একই সাথে প্র্যাকটিস করার নিয়ম।

যেকোনো ভিডিও দেখে পাশাপাশি প্র্যাকটিস করতে গেলে প্রথমে আমাদের সেকেন্ড স্ক্রীন অন করতে হবে। আর সেকেন্ড স্ক্রীন অন করতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম ডেস্কটপ বা কম্পিউটার কে ভার্চুয়াল ডেক্সটপ এ তৈরী করতে হবে। Ctrl+window একসাথে চেপে রাইট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে ৪ টা আঙুল একসাথে রাইট এ সোয়াপ করতে হবে। 


ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি> ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আমাদের কোনো রকম হোস্টিং এর প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র ডোমেইন কিনলেই হবে। ব্লগার এর কোস্টিং আনলিমিটেড এবং ব্যান্ডউইথ ও। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে ডোমেইন কিনতে হবে। এবং সেটাকে গুগল এর হোস্টিং প্যানেল এর সাথে অ্যাড করতে হবে। এরপরে গুগল এ এসে ব্লগার ডট কম টাইপ করার পরে আমরা যেই ইমেইল দিয়ে ডোমেইন খুলেছি সেইটা দিয়ে ব্লগার এ লগইন করতে হবে। একাউন্ট ক্রিয়েট করতে প্রথমেই নেম এর টাইটেল দিতে হবে তারপর ডিসপ্লে নেম দিয়ে ফিনিশ বাটনে প্রেস করলেই ব্লগার এ একাউন্ট হয়ে যাবে। এর পরে আমাদের ডোমেইন কে ব্লগার একাউন্ট এর সাথে অ্যাড করার জন্য ব্লগার এর সেটিংস এ গিয়ে কাস্টম ডোমেইন আমাদের কেনা ডোমেইন নেম দিয়ার পরে নিচের দেওয়া কোড এবং অ্যাড্রেস গুলোকে আমাদের ডোমেইন কিনার হোস্টিং প্যানেল এ গিয়ে সব গুলো বসাতে হবে। 


দেশী বনাম ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির পার্থক্য> বাংলাদেশী সাইট থেকে ডোমেইন হোস্টিং এর সুবিধা অসুবিধা। বাংলাদেশী সাইট থেকে ডোমেইন কিনলে সুবিধা হলো ডোমেইন এর পেমেন্ট করা। যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট দিয়ে আমারা সহজেই ডোমেইন কিনতে পারবো। আর বাংলাদেশী সাইট এর অসুবিধা গুলো হলো বেশির ভাগ ওয়েবসাইট গুলোই হয় রিসেলার। এতে ডিএনএস ম্যানেজমেন্ট ট্রাস সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। এবং হোস্টিং এর কোয়ালিটি খুব একটা ভালো হয় না। 


ইন্টারন্যাশনাল সাইট থেকে ডোমেইন হোস্টিং এর সুবিধা অসুবিধা> বেশির ভাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি গুলো এলিট ক্লাস কোয়ালিটির হয়ে থাকে। তাই তাদের কাছের সার্ভিস গুলো খুবই প্রিমিয়াম কোয়ালিটির পাওয়া যায়। এবং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ডোমেইন হোস্টিং নিতে আরো একটা সুবিধা হচ্ছে কোনো দেশে আপনি ইলিগাল কাজ করলে ওই দেশের সরকার আপনাকে সহজে বান্ড করতে পারবে না। আর ইটারনেশনাল কোম্পানির বড় অসুবিধা হলো পেমেন্ট। এখানে বিকাশ নগদ রকেট দিয়ে পেমেন্ট করা যায় না। ডলার এ পেমেন্ট করতে হয়। এবং ডলার পেমেন্ট এর জন্যও পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়ে। 


পোস্ট/পেজের পার্থক্য, থিম, লেআউট এবং সেটিংস পরিচিতি> প্রথমেই আসি পোস্ট এর কাছে। পোস্ট এর মাঝে কোনো কিছু তৈরী করে পাবলিশড করলে সেইটা দেখাবে হোমপেজ এ। আর অন্যদিকে পেজের মাঝে কোনো কিছু তৈরী করে পাবলিশড করলে সেইটা দেখাবে ক্যাটাগরি অথবা লিংক এর মাধ্যমে। 


থিম> থিম হলো ওয়েবসাইট এর কালার কাস্টোমাইজেশনের অপশন। থিম এর মধ্যে মেইন কালার থিম চেঞ্জ করলে মেনুবারের মেনুর কালার চেঞ্জ হবে, ক্যাটাগরির নামের কালার চেঞ্জ হবে। 


লেআউট> লেআউট হলো ব্লগ পৃষ্টায় সবকিছুর নকশা বা উপস্থাপনাকে বোঝায়। 

ব্লগার এর সেটিংস, কমেন্ট, স্ট্যাটস, ইনকাম পরিচিতি> ওয়েবসাইট এর সেটিংস থেকে আমরা টাইটেল, ডিসক্রিপশন, ব্লগ ভাষা সিলেক্ট, এডাল্ট কনটেন্ট, প্রাইভেসি, পাবলিশিং, https অন, পোস্ট কমেন্ট সহ এ সকল কিছু এডিট করতে পারব আমাদের নির্ধারিত প্রয়োজন অনুযায়ী। 


কমেন্টস> আমরা যেই পোস্ট টা পাবলিশড করব সেখানে অবশ্যই কমেন্ট অপশন থাকবে এবং সেই কমেন্ট অপশন থেকে মানুষ ভালো মন্দ দুটোই কমেন্ট করতে পারবে। আমরা কমেন্ট টাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি যেইভাবে। কেউ কমেন্ট করলে সেইটা আগে আমাদের কাছে পেন্ডিং এ জমা থাকবে। আমাদের কোনো কমেন্ট পছন্দ না হলে আমরা সেই কমেন্ট টাকে পোস্ট না করেই ডিলিট করতে পারব।


Stats> স্টেস্টস থেকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এর এবং পোস্ট এর ভিউ দেখতে পাবো 









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অমৃতা ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url